স্টাফ রিপোর্টার: এই মরশুমে মনে রাখার মতো যে কিছুই করতে পারেননি তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। এবার ১১টা দলের মধ্যে লিগ টেবিলের সবচেয়ে নিচে লাল-হলুদ। ২০টা ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচ জিতেছে তারা। সেই জায়গায় পরাস্ত হয়েছে ১১ ম্যাচে। সব মিলিয়ে কোটি কোটি লাল-হলুদ (SC East Bengal) সমর্থকের চোখের জল মুছে দেওয়ার মতো কিছুই করতে পারেনি রিভেরা বাহিনী।
শনিবার নিজেদের শেষ ম্যাচেও বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে বসে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন বর্ষীয়ান সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। বয়সের দিক দিয়ে লাল-হলুদ জার্সিধারীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবু সুনীলকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তাই বেঙ্গালুরু ম্যাচের শেষে হতাশার সুরে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “আমাদের পক্ষে এই মরশুম মনে রাখার মতো কিছু করা সম্ভব হল না। সত্যি এটা খুব দুঃখের। সভ্য-সমর্থকদের মুখে আমরা হাসি ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছি। বক্সের মধ্যে ভাল খেলতে পারিনি বলেই আমাদের পারফরম্যান্স তেমন চোখে পড়েনি।”
[আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে দাপট বাংলার, গ্রুপ শীর্ষে থেকে রনজির নকআউটে অভিমন্যুরা]
তবে রিভেরা মনে করছেন, তাঁর দল খুব খারাপও খেলেনি। বেশ কিছু ম্যাচে তাঁরা ভাগ্যের কাছে মার খেয়েছেন। নাহলে তাঁদের জেতার কথাই ছিল। “আমরা অধিকাংশ ম্যাচে ভাল খেলেছি। সুযোগও তৈরি হয়েছে প্রচুর। বেশ কিছু ভাল মুহূর্ত ছেলেরা তৈরি করতে পেরেছে। যেগুলো মনে রেখে দেওয়ার মতো ছিল। প্রতিদিনই ধীরে ধীরে দল উন্নতি করেছে। তাই বলতে পারি নেতিবাচকের পাশাপাশি অনেক ইতিবাচক দিকও ছিল।” বলেছেন রিভেরা।
সুনীলদের বিপক্ষে বেশ কিছু নতুন মুখকে দেখা গিয়েছে খেলতে। বিশেষ করে নেপালের অনন্ত তামাং। আইএসএলে অনন্ত হলেন নেপালের একমাত্র ফুটবলার যিনি খেলার সুযোগ পেলেন। তাছাড়া রয়েছেন একদা এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) হয়ে নজরকাড়া শুভ ঘোষ। এঁদের নামানোর পিছনে যুক্তি কী ছিল তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রিভেরা বলেন, “এমনিতেই অনেকের চোট ছিল। তাছাড়া অনেককে খেলিয়ে দেখে নিতে চাইছিলাম। দুই নবাগত অনন্ত ও শুভ ভালোই খেলেছে। পেরোসেভিচও ভাল খেলছিল। কিন্তু চোট পেয়ে গেল বেচারা। আসলে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স খুব ভাল ছিল বলে গোল পাইনি। নাহলে আমাদের গোল করা উচিত ছিল।” বেঙ্গালুরুর কাছে হারলেও স্প্যানিশ কোচের ধারণা, তাঁর দল মার খেয়েছে বেঙ্গালুরুর বক্সের মধ্যে ভাল কিছু করতে পারেনি বলে। নাহলে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাঁর দল ভালই খেলেছে। এরপর আর কিছু বলার থাকতে পারে না।