সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও চিনে করোনা ভাইরাসের গতি মন্থর হয়েছে। পরপর তিনদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্কের জের, বন্ধ সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির, বাদ পড়ল না অজন্তা-ইলোরা গুহাও]
গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনার হামলায় বেকায়দায় পড়েছে চিন। সোমবার পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কিন্তু তুলনায় কমছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত কয়েকদিনে এই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটা সাফল্য মিলেছে।ফলে গুইঝাউ প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে একাধিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সোমবার স্কুলে ক্লাসও নিয়েছেন শিক্ষকরা। মাস্ক পরে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে দেখা যায়। গুইঝাউ প্রদেশে অন্তত আড়াই হাজার স্কুল খুলে গিয়েছে। এদিন প্রায় ১০ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া স্কুলে আসে। ওই প্রদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর না মেলায় স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয় বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের এক যৌথ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, চিনে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ১৮ বছরের যুবক-যুবতীদের মধ্যে সংক্রমণের হার মাত্র ২.৪ শতাংশ। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ০.২ শতাংশের অবস্থা সঙ্কটজনক। চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জি গালিয়া বলেন, ‘এই নতুন ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি আমাদের এখনও অজানা। স্কুলগুলি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে।’ তবে বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্ররা ফায়ার এলে ফের সংক্রমণ বাড়বে না শিশুদের শরীরে তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না কোভিড-১৯ তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না চিকিত্সকরা।
এদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সংক্রমণ রুখতে যত চেষ্টাই হোক, তা ব্যর্থ করে আরও ছড়াচ্ছে মারণ জীবাণু। ইউরোপের একাধিক দেশে থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯। ইটালিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। করোনা কাঁটায় ফ্রান্সে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহণ। আমেরিকায় কারফিউ জারি হয়েছে। ভারতেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১২১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। কর্ণাটকে নতুন করে ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯’এর জীবাণু মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বিশ্বজুড়ে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুমিছিল – সংখ্যা ছাড়াল ৭ হাজার। সবমিলিয়ে, উদ্বেগ বাড়ছে বই কমছে না।
[আরও পড়ুন: ‘প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতে’, করোনায় উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর]
The post ছন্দে ফিরছে করোনা আক্রান্ত চিন, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে খুলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান appeared first on Sangbad Pratidin.