অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দেশের অন্যতম প্রাচীন, বৃহত্তম উদ্ভিদের বাগান হিসেবে পরিচিত শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন। কিন্তু গত ৬০ বছরে এই বি গার্ডেনে কোনও বনসাই বিভাগ ছিল না। এবার গার্ডেনে প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর তৈরি করা হল বনসাই বিভাগ। একশো প্রজাতির প্রায় ২০০ গাছ লাগানো হল এই বনসাই বিভাগে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে ২২ নম্বর ডিভিশনে ক্যাকটাস হাউসের পাশে বনসাই বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। এবার থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রাতঃভ্রমণকারী ও দর্শকরা এসে দেখতে পাবেন, কীভাবে কত ধরনের বড় গাছকে ছোট করে বনসাই হয়।
প্রসঙ্গত, অনেকেই এখন বাড়িতে বনসাই রাখেন। তাঁরা বি গার্ডেনে এলে জানতে পারবেন কত ধরনের গাছের বনসাই হয়। শুক্রবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই বনসাই বিভাগের উদ্বোধন করেন গার্ডেনের ডিরেক্টর কণাদ দাস ও জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিং।বনসাই বিভাগে ৩৫টি পরিবারে ভাগ করে ১০০ প্রজাতির গাছ রাখা হয়েছে। তবে এই গাছগুলিকে কিছুটা সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বাঁচানোর জন্য এই বনসাই বিভাগে ক্যাকটাসের মতোই তাঁবু তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামিদিনে আলাদা তাঁবু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আগে বি গার্ডেনে বনসাইকে বিভিন্ন নার্সারির ভিতর রাখা হত। এখন একে বাইরে এনে বনসাইদের একত্রিত করে এর আলাদা বিভাগ তৈরি করা হল।
এদিন বনসাই বিভাগের উদ্বোধনের পর বি গার্ডেনের ডিরেক্টর কণাদ দাস বলেন, "এতদিন বনসাইয়ের নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। এখন সেই জায়গা তৈরি করে দেওয়া হল। বনসাই একটি জাপানি শিল্প। এতদিন বি গার্ডেনে সুনির্দিষ্ট জায়গায় বনসাই রাখা হয়নি। এবার গার্ডেনে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় সুনির্দিষ্ট জায়গায় রেখে এর আলাদা বিভাগ করা সম্ভব হল।" উল্লেখ্য, বনসাই বিভাগে বড় গাছকে ছোট আকারে করা হয়। এখানে একশো প্রজাতির যেসব গাছ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অশ্বত্থ, ময়ূরপঙ্খী, ক্রিসমাস ট্রি, স্বর্ণরানি, চিনা জবা, সেহোরা, জাম, পাকুড়ের মতো গাছ।
