সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের নিরিখে উষ্ণতম হিসাবে রেকর্ড গড়েছে ২০২৩। এবার রাষ্ট্রসংঘের (UN) নয়া রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হল ২০১৪ থেকে ২০২৩- এই দশ বছর পৃথিবীর বুকে সর্বকালের সবচেয়ে উষ্ণ দশক ( Hottest Decade)! ‘বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র এই নয়া রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের বক্তব্য, ‘খাদের কিনারে পৃথিবী।’ সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, পৃথিবী এক দুর্দশার মুখোমুখি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে তাপমাত্রার নানা রেকর্ড গড়েছে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা। পাশাপাশি চিন ও আরও বহু দেশই নাভিশ্বাস ফেলেছে দাবদাহে। দীর্ঘ সময় খরাক্লিষ্ট থেকেছে আফ্রিকা। কানাডা সাক্ষী হয়েছে ভয়ংকর দাবানলের। এই পরিস্থিতিতে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে পৃথিবীর ‘নিয়ার সারফেস টেম্পারেচার’ অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ ফুট উপরের তাপমাত্রা। যা এখন ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র প্রধান অ্যান্ড্রেসা সেলেস্টে সাউলোর মন্তব্য, ”আমরা এর আগে প্য়ারিস চুক্তির নিম্নতম মাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের এত কাছে এর আগে কখনওই আসিনি।” তাঁর মতে এই রিপোর্টকে ‘পৃথিবীর জন্য লাল সতর্কতা’ হিসেবে দেখা উচিত।
[আরও পড়ুন: জুম্মাবারে ভোট কেন? সূচি বদলের দাবিতে কমিশনকে চিঠি কংগ্রেসের]
২০২৩ সালে সমুদ্রের ৯০ শতাংশই এক অপ্রত্যাশিত উষ্ণতার সম্মুখীন হয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রতিটি মহাসাগরেই কখনও না কখনও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে অ্যান্টার্কটিকায় পাশাপাশি আটলান্টিক মহাসাগরে বরফ গলছে অনেক দ্রুত। যা উদ্বেগকে প্রবল ভাবে বাড়িয়ে তুলছে। তাছাড়া হিমবাহও গলছে রেকর্ড হারে। গত শতকের পাঁচের দশক থেকে যে পরিমাপ নেওয়া হয়, তাতে দেখা যাচ্ছে আগের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার! এই দশ বছরে সমুদ্রেক জলস্তরও বেড়েছে নজিরবিহীন ভাবে।
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, দাবানল–সংখ্যা এবং প্রভাব, দুই-ই ঊর্ধ্বগামী। ফলত, আগামী দিনগুলিতে এ বিশ্ব যে ঠিক কতটা গুরুতর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে, তার সংকেত মিলছে এখন থেকেই। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করলেও পরিস্থিতি যে ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে তা বুঝিয়ে দিল নতুন রিপোর্ট।