সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওষুধ খেলে অসুস্থতা কমে যায়। কিন্তু এবার ওষুধ খেলে কমে যাবে বয়সও। এমনটাই দাবি করলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) একদল গবেষক। তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। এই ওষুধ খেলেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বয়স পিছনের দিকে হাঁটতে শুরু করবে। ফলে বার্ধক্যের সমস্যা আর শরীরে থাবা বসাতে পারবে না। গত ১২ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই কথা লিখেছেন হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা।
ঠিক কীভাবে তৈরি হবে এই আশ্চর্য ওষুধ? হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মোট ছ’রকমের ওষুধ নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ওষুধের মাধ্যমে বয়স কমানোর বিষয়টি নিয়ে সাফল্য মেলেনি। শুধুমাত্র জিন থেরাপি দিয়েই বয়স কমানোর উপায় ছিল। তবে এবার কেমিক্যাল ককটেলের তৈরি ওষুধ দিয়েই বয়স কমে যাবে (Age Reversing)। এই ওষুধ খেলেই মানবদেহের বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমে গিয়ে উলটো দিকে হাঁটা শুরু করবে বয়স।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে সেচমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাচ্ছে বিশেষ দল, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
জানা গিয়েছে, মোট পাঁচ থেকে সাতটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে এই ককটেলে। শারীরিক ও মানসিক নানা রোগের প্রতিকার করতেই আলাদাভাবে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়। তবে সব ওষুধকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন হার্ভার্ডের গবেষকরা। এই কাজ করতেই সময় লেগেছে তিন বছর। তারপরেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, দেহের কোন অঙ্গে এই ওষুধের প্রয়োগ ঘটানো হবে সেটা খুঁজে বের করা। আপাতত বিজ্ঞানীদের দাবি- স্নায়ু, মস্তিষ্ক, কিডনি ও মাংসপেশিতেই কাজ করবে এই কেমিক্যাল ককটেল ওষুধ।
তবে এখনও মানবদেহে এই ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। ইঁদুর ও বাঁদরদের উপর পরীক্ষা করে বেশ ভাল ফল মিলেছে বলেই দাবি হার্ভার্ডের। তাদের জীবনকালের পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তিও অনেক বেড়েছে। এই ওষুধ মানবদেহে কেমন কাজ করবে, তা নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আপাতত আগামী বছর মানবদেহে এই ওষুধ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই গবেষণা ও ওষুধ নিয়ে আপত্তি রয়েছে হার্ভার্ড-সহ একাধিক বিজ্ঞানীদের মধ্যেই।