সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি মার্কিন মহাকাশচারী মাইকেল কলিন্স (Michael Collins)। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার ৯০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযানের এই নভোচর। তাঁর পরিবারের তরফে প্রবীণ মাইকেলের মৃ্ত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তাঁর প্রয়াণের পরে টুইটারে শোকজ্ঞাপন করে পোস্ট করেছে নাসা।
১৯৬৯ সালে অ্যাপলো ১১ (Apollo 11) যখন চন্দ্রপৃষ্ঠে নামে, সেই সময় তিনিও ছিলেন ওই অভিযানের একজন সদস্য হিসেবে। কিন্তু অত কাছে পৌঁছেও চাঁদে নামেননি তিনি। পরিকল্পনামাফিক কমান্ড মডিউল ‘কলম্বিয়া’র ভিতরে ছিলেন মাইকেল। আর লুনার মডিউল ‘ঈগল’ নেমেছিল চাঁদে। পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে সেটি ফেরার সময় সেটি ফিরে আসে ‘ঈগল’-এ। সেই প্রত্যাবর্তনের একটি ছবি তুলেছিলেন মাইকেল। সেই ছবিই নতুন করে শেয়ার করেছে নাসা। অসামান্য ছবিটিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আকাশে জ্বলজ্বল করতে থাকা পৃথিবীকে! তাঁর প্রয়াণের পরে নাসার করা টুইটে ব্যবহৃত হয়েছে মাইকেল কলেন্সের বিবৃতি। যেখানে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: গগনযানের গতিবিধি নজরে রাখতে উপগ্রহ পাঠাবে ISRO, সবুজ সংকেত নয়া প্রকল্পে]
দেখতে দেখতে পাঁচ দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও মহাকাশপ্রেমীদের স্মৃতিতে রোমাঞ্চ জাগায় চন্দ্রাভিযানের সেই মুহূর্ত। নিল আর্মস্ট্রং ও এডুইন অলড্রিনের চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পাশাপাশি চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকালীন সহ-অভিযাত্রী ও নাসার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সাময়িক ভাবে মাইকেলের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার কাহিনিও সকলেরই জানা। যে সময়ে তিনি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা জানাতে গিয়ে মিশন লগে লেখা হয়েছিল, ‘আদমের পরে (বাইবেলে বর্ণিত পৃথিবীর প্রথম মানুষ) এতটা নিঃসঙ্গ আর কাউকে হতে হয়নি।’
পরবর্তী সময়েও সেই মুহূর্ত নিয়ে চর্চা হয়েছে অনেক। চাঁদের মাটিতে না নেমেও খ্যাতি কিছু কম পাননি একদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সদস্য থাকা এই নভোচর। এবার তাঁর প্রয়াণের পরেও সেই সব ইতিহাস যেন ফের নতুন করে উঠে আসছে আলোচনায়।