সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোমা থেকে লিভারপুল- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস কম নয়। প্রথম পর্বে এগিয়ে থেকেও হার মানতে হয়েছে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ডর্টমুন্ডের গুরাসির হ্যাটট্রিকে সেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে হেরেও প্রথম পর্বে জিতে থাকায় সেমিফাইনালে পৌঁছল স্পেনের ক্লাব। একইভাবে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরেও শেষ চারে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি।

ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। সিগনাল এদুনা পার্কের হলুদ দুর্গে যে ডর্টমুন্ড পালটা লড়াই দেবে, সেটা তো জানা কথাই ছিল। ম্যাচের ১১ মিনিটে তাদের এগিয়ে দেন গুরাসি। প্রথমার্ধে আরেকটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিকো কোভাচের দলকে ফের এগিয়ে দেন গুরাসি। তবে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। সেটাও অবশ্য এল ডর্টমুন্ডের আত্মঘাতী গোলে। ফেরমিন লোপেজের ক্রস নিজের জালে জড়িয়ে দেন বেনসেবাইনি। ৭৬ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন গুরাসি। কিন্তু তারপর আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি জার্মানির ক্লাব। ফলাফল দাঁড়ায় ৩-১। আর দুই পর্ব মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে উঠল হান্সি ফ্লিকের দল।
ঠিক একইভাবে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরে শেষ চারে উঠল পিএসজি। ঘরের মাঠে তারা জিতেছিল ৩-১ গোলে। ইংল্যান্ডে এসে এমি মার্টিনেজের দলের কাছে হারল ২-৩ গোলে। ২৭ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেসি-এমবাপের পুরনো ক্লাব। গোল করেন দুই সাইডব্যাক হাকিমি ও নুনো মেন্দেজ। যদিও তারপর তিনটি গোল করে অ্যাস্টন ভিলা। জালে বল জড়ান তিলেমানস, ম্যাকগিন, এনগোয়ো। দুই পর্ব মিলিয়ে পিএসজির পক্ষে ফলাফল দাঁড়ায় ৫-৪। আর সেমিফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নেয় পিএসজি।