সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পলাশরাঙা মরশুমে 'পলাশ' এল ঘরে! আরও রঙিন হল ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা। উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়ার খয়েরবনি থেকে চলে এসেছে নতুন এক অতিথি। বছর সাতের পুরুষ লেপার্ডটি বৃহস্পতিবার রাতে এসে পৌঁছেছে চিড়িয়াখানায়। বসন্তের রঙে রাঙিয়ে চারিদিকে পলাশের সমারোহ। আর তাই রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে তার নাম রেখেছেন 'পলাশ'।
কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রামে এসেছে একটি পুরুষ ভাল্লুক। কয়েকদিনের মধ্যেই আলাদা আলাদা এনক্লোজারে ছাড়া হবে 'পলাশ' এবং সেই ভাল্লুকটিকে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত আগামী দু'দিন নতুন লেপার্ডটি থাকবে নিভৃতবাস বা কোয়ারেন্টাইনে। তারপর আরও পাঁচদিন একটি আলাদা ফেন্সিং তথা ঘেরাটোপে ছাড়া থাকবে। তারপর মূল এনক্লোজারে ছাড়া হবে তাকে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, "আগামী কয়েকদিন লেপার্ডটিকে আলাদা রাখা হবে। কয়েকদিন পর মূল এনক্লোজারে ছাড়া হবে।''
ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল চিড়িয়াখানা।
জানা গিয়েছে, কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানার থেকেও বড় ঝাড়গ্রামের এই চিড়িয়াখানা। প্রায় দুশো একর জমির উপর এই জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কটি রয়েছে। এহেন একটি জনপ্রিয়, বড় আয়তনের চিড়িয়াখানায় প্রবীণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল না। বহু প্রবীণ মানুষ পরিবারের সঙ্গে এলেও এতটা হেঁটে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে পারতেন না। এবার সেই অসুবিধা দূর হল ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের হাত ধরে। ১৪ আসনবিশিষ্ট এই গাড়ি কেবলমাত্র বয়স্ক এবং অসমর্থ মানুষই চড়তে পারবেন। গাড়ির ভাড়াও থাকছে সামর্থ্যের মধ্যেই। আগামী সোমবার থেকে চালু হয়ে যাবে এই বিশেষ গাড়ি।
রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কথায়, "আমাদের এই চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে বয়স্ক এবং অসমর্থ মানুষজন আনন্দ করতে পারতেন না। পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা হত না তাঁদের। তাঁদের কথা আমাদের ভাবনায় ছিল। এবার কেবল তাঁদের জন্য ব্যাটারিচালিত গাড়ি চলে এসেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পুরুষ লেপার্ড নিয়ে আসা হয়েছে। প্রকৃতির রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে তার নাম রাখা হয়েছে পলাশ।"
