সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রণথম্বোরের রানি’ সে। তার মৃত্যুর খবরে মনখারাপ পশুপ্রেমী, অরণ্যপ্রেমী মানুষদের। অ্যারোহেড নাম্নী ওই বাঘিনীর শেষ মুহূর্তের এক ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ১৪ বছরের টি-৮৪-র (অ্যারোহেডের পোশাকি নাম) শেষ পদচারণার মুহূর্তগুলিতে ফুটে উঠছে বিষণ্ণতা ও হার না মানা মনোভাবের এক আশ্চর্য সহাবস্থান। শরীর ভেঙে পড়েছে, তবু বাঘিনীর হেঁটে চলার মধ্যে তখনও ঝলসে উঠছে অনমনীয় রাজকীয়তা।
ভিডিওটি তুলেছেন শচীন রাই। বিখ্যাত এই ফটোগ্রাফার অ্যারোহেডকে লেন্সবন্দি করেছেন সে শাবক থাকা অবস্থাতেই। এত বছর ধরে তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের ছবি বা ভিডিও তুলেছেন। একেবারে শেষ মুহূর্তের ওই ভিডিও দেখে তিনি বিস্ময়াবিষ্ট। ১৭ জুন সন্ধের দিকে তিনি অ্যারোহেডের হেঁটে চলার মুহূর্ত ক্যামেরায় তুলে রাখেন। তিনি লিখেছেন, 'তার সংগ্রাম দেখে কষ্ট হচ্ছিল। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। আবার পড়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি দুর্বল পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছিল।' পাশাপাশি শচীনের দাবি, 'আমার হৃদয় বুঝতে পারছিল শেষ সময়টা একেবারে কাছে চলে এসেছে।'
প্রসঙ্গত, অস্থি-র ক্যানসারে ভুগছিল ওই বাঘিনী। কয়েকদিন আগেই তার কুমির মারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তার সাহস, দুর্দম মেজাজ মুগ্ধ করেছিল সকলকে। বিখ্যাত বাঘ মছলির নাতনি সে। তার মেয়ে কঙ্কাতি মানুষখেকো হয়ে পড়ায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল অ্যারোহেডের।
মাথায় তিরের মতো দাগের কারণে নাম হয়েছিল অ্যারোহেড। তার দশ সন্তানের মধ্যে বেঁচে রয়েছে ৬টি। শেষকৃত্যে বনের ওয়ার্ডেনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও ভিড় জমিয়েছিল। জঙ্গলের রানিকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিল সকলে।
