shono
Advertisement

রাজনৈতিক জনসভার ঠেলায় দূষণে জেরবার ব্রিগেড, বাড়ছে কলকাতার বিপদ

দু’মাস দূষণের মাত্রাটা বাড়বে শহরে, আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।
Posted: 05:02 PM Mar 09, 2021Updated: 07:23 PM Mar 09, 2021

নব্যেন্দু হাজরা: উড়ছে ধুলো। মরছে ঘাস। বাড়ছে দূষণ (Pollution)। ভোটযুদ্ধে ময়দান মুখ ঢেকেছে ধুলোয়। সোমবার সকালের দিকে তো এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে উলটো দিকটাও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছিল না। মুখে বাঁধতে হচ্ছিল রুমাল। বেলা বাড়তে তবু কিছুটা কাটে তা। 

Advertisement

গত সপ্তাহে গিয়েছে বামেদের ব্রিগেড। আর এই রবিবার বিজেপির। জোড়া ব্রিগেডের চাপে অসহায় অবস্থা ময়দানের। পায়ের তলায় পিষ্ট ঘাস। সবাই মৃত। আর ঘাস মরে যাওয়াতেই ধুলো উড়ছে ব্রিগেডে। সহনসীমার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সূক্ষ্ম ও অতি সূক্ষ্ম কণা বাতাসে ভাসছে। সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ১০ শ্বাসযন্ত্রে ও অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ সরাসরি ঢুকছে ফুসফুসে। তাতে নানা ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে মানবদেহে। আর পায়ে পায়ে আক্রান্ত পরিবেশও। ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে দূষণ। পরিবেশবিদরা যা দেখে শঙ্কিত।

[আরও পড়ুন : আমেরিকায় উল্কাপাত! প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি ঘিরে চাঞ্চল্য]

পরিবেশবিদদের কথায়, সারা রাজ্যের মানুষের পায়ে পায়ে এই শহরে এসে জমা হয়েছে ধুলো। যা রবিবার দিনভর উড়েছে। ছিল সোমবারও। ঘাসের ধুলো টেনে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু পায়ের চাপে সেগুলোর আস্তরণটাই মাটি থেকে উঠে যায়। এমনিতেই এই সময় শুষ্ক আবহাওয়া। তার উপর ময়দানে ঘাসের আস্তরণটা উঠে গেলে ধুলো উড়তে থাকে। সেটাই হয়েছে এবার। একটা ব্রিগেডের পর অন্তত মাসখানেকের যদি ব্যবধান থাকে, তাহলেও মরে যাওয়া ঘাসের জায়গায় নতুন ঘাস জন্মায়। কিন্তু ভোটের সময় তা হয় না। তাছাড়া শুধু ব্রিগেড নয়। শহরের একাধিক জায়গাতেই রাজনৈতিক দলের নিত্য-নৈমিত্যিক মিছিল-মিটিং লেগে থাকে। আর তা থেকে পায়ে পায়ে উড়তে থাকে ধুলো। 

রবিবার ফোর্ট উইলিয়ামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যে দূষণের মাত্রা ছিল তা বেশ খারাপ। নিয়ম অনুযায়ী ১০১-২০০ পর্যন্ত দূষণের মাত্রা যদি থাকে তবে তা খারাপের দিকেই। রবিবার দিনভর সেই মাত্রা ওঠা-নামা করেছে ১৯২ থেকে ২০০-র মধ্যে। তবে সোমবার সেই পরিমাণটা কিছুটা কমেছে। যে দূষণটা অবশ্য ছড়িয়েছে তার বেশিরভাগটাই এই ধূলো থেকে। সোমবারও এর মাত্রাটা ছিল অনেকটাই। ১২৪ থেকে ১৩০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।

[আরও পড়ুন : নাসার ক্যামেরায় এবার অতিকায় নীলচে ছায়াপথের ছবি! বিস্মিত মহাকাশপ্রেমীরা]

পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, যেভাবে মিটিং-মিছিল চলছে তাতে আগামী দু’মাস দূষণের মাত্রাটা বাড়বে শহরে। সেক্ষেত্রে শুধু করোনা থেকে বাঁচতে নয়, ধুলোর হাত থেকে বাঁচতেও মাস্ক বড় ভরসা হতে পারে। তাঁদের কথায়, ভোট তো হবেই। জনসভাও হবে। কিন্তু দলগুলোর এই ব্রিগেড ভরানোর ব্যবধান যদি একটু বেশি হয়, তবে ধুলোর থেকে একটু বাঁচে শহর। শহরে এত মানুষ এলে তাঁদের পায়ে পায়ে ধুলো তো আসবেই। আর তার জের থাকে আরও বেশ কয়েকদিন। এতটাই ধুলো ওড়ে এই সময় যে মাঠে আসা মানুষ এমনকী যাঁরা সেখানে ছোট-খাটো জিনিস, খাবার বিক্রি করেন, তাঁরাও মুখে রুমাল বাঁধেন। 
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “যে কোনও ব্রিগেডের জনসভাতেই সবুজ ধ্বংস হয় ময়দানে। ঘাস পায়ে পিষ্ট হয়। ফলে ধুলো টেনে নিতে পারে না। ধুলো উড়তে থাকে মারাত্মকভাবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement