সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমি (Mummy)। মাত্র দুই অক্ষরের এই বাংলা শব্দ যে বিপুল বিস্ময় ও কৌতূহল উদ্রেক করতে পারে, তা নতুন কথা নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মিশরের (Egypt) প্রাচীন রাজারাজড়াদের সংরক্ষিত মৃতদেহ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এই তালিকায় থাকা সাম্প্রতিক সংযোজন খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতকের রাজা প্রথম আমেনহোটেপ। সম্প্রতি এই মমির দেহ স্ক্যান করে বিস্মিত গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, প্রথম আমেনহোটেপের শরীর এখনও অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে। চিবুক রয়েছে সরু।
কী করে এতটা অক্ষত রইল ওই ফারাওয়ের খুলি? মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্যতম কারণ এই মমিটির আবরণ এখনও খোলা হয়নি। এটিই একমাত্র মমি যার দেহ রয়ে গিয়েছে আবরণের আড়ালেই। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। যা থেকে জানা যাচ্ছে, মোটামুটি ১৫২৫ থেকে ১৫০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা ছিল আমেনহোটেপ।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রেও বইছে হাওয়া! আশ্চর্য আবিষ্কারে চাঞ্চল্য বিজ্ঞানী মহলে]
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা সিটি স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে, সরু চিবুক, ছোট নাক, কোঁকরা চুল ও সামান্য উঁচু দাঁত- ওই ফারাওয়ের মুখের সঙ্গে মিল রয়েছে তার বাবার। এত বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও চোটআঘাত লাগেনি খুলিটির। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজির অধ্যাপক ড. সহর সালেম জানিয়েছেন, ”যেহেতু আমেনহোটেপের মমি কখনও খোলাই হয়নি, তাই তা আধুনিক যুগের পক্ষে এক দারুণ সুযোগ।”
কিন্তু এতদিন খোলা হয়নি এই মমিটি? ১৮৮১ সালে প্রথমবার খোঁজ মিলেছিল আমেনহোটেপের। অথচ ১৪০ বছর ধরে সেটির আবরণ উন্মোচন করা হয়নি। এর পিছনে কি কোনও অপ্রাকৃত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? গবেষকরা অবশ্য জানাচ্ছেন, তেমন কোনও ব্য়াপার নেই। আসলে ওই মমিটি এত নিখুঁত ভাবে আবরণে ঢাকা, মমির নাক ও মুখও ঢাকা রয়েছে মুখোশে, তাই সেটিকে আবরণমুক্ত করতে চান না প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তবে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্ক্যান করে খুঁটিয়ে সেটিকে দেখা সম্ভব হল।