সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওই আলো দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল মার্কিন মুলুকে। রজ্জুতে সর্পভ্রম। অর্থাৎ দড়িকে সাপ ভেবে ভুল করা। প্রায় একই অভিজ্ঞতা হল আমেরিকার (US) বাসিন্দাদের। সেখানকার ফিলাডেলফিয়ায় রাতের আকাশে রহস্যময় একঝাঁক আলো দেখে অনেকেই দাবি করেছিলেন ওগুলো ভিনগ্রহীদের যান- ইউএফও (UFO)! যদিও রহস্যভেদের পরে জানা গিয়েছে, আসল সত্যিটা অন্য।
গত বুধবার রাতের আকাশে আচমকাই দেখা যায় রহস্যময় আলোর সারি। টেক্সাস থেকে উইসকনসিন- নানা টিভি স্টেশনে ফোন আসে প্রত্যক্ষদর্শীদের। ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। পরে জানা যায়, এগুলো আসলে এলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা ‘স্পেসএক্স’ (SpaceX) প্রেরিত উপগ্রহ। ধনকুবের মাস্কের সংস্থা যে স্টারলিংক (Starlink) ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করতে চলেছে, সেই কারণেই সেগুলিকে আকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যেহেতু সেগুলি অপেক্ষাকৃত নিচে রয়েছে, তাই আলোগুলি বেশি উজ্জ্বল লাগে।
[আরও পডুন: ‘কন্যাশ্রী’র বিশ্বজয়! গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে স্থান পেল মেমারির ছাত্রীর তৈরি মাস্ক]
যদিও এখনও ‘স্পেসএক্স’-এর তরফে এবিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে বহু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদেরই দাবি, যেভাবে অল্প সময়ের মধ্যে অতগুলি আলোকে চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে তা লক্ষ করে এবং পৃথিবীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব বিচার করে সহজেই বোঝা যায় ওগুলি কৃত্রিম উপগ্রহেরই আলো। ‘আমেরিকান অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটি’র প্রেস অফিসার ড. রিচার্ড ফিয়েনবার্গের কথায়, ‘‘স্টারলিংক উপগ্রহগুলি আকাশের গায়ে মুক্তোর মতো গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। একই কক্ষপথে একের পর এক সারি বেঁধে সেগুলি ছুটে যাচ্ছিল।’’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ফ্যালকন ৯ রকেটের সাহায্যে ৬০টি স্টারলিংক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল এলনের সংস্থা ‘স্পেসএক্স।’ উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ শুরু করতে চলেছে ওই সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে ১ হাজার ও পরে ১২ হাজার উপগ্রহের মাধ্যমে স্টারলিংকের পরিষেবা মিলবে। কিন্তু মাস্কের সংস্থার উপগ্রহগুলি তাদের থেকে পৃথিবীর ৬০ গুণ বেশি কাছে থাকবে। হয়তো সেই জন্যই রাতের আকাশে সেগুলিকে বেশি উজ্জ্বল ও বড় দেখিয়েছিল। যা থেকে সহজেই তৈরি হয়েছিল ইউফোর দৃষ্টিভ্রম।