সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের শত্রুতার কথা জানা আছে, তাই দেশবাসীর সুরক্ষা আরও বেশি করে সুনিশ্চিত করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। অন্তত ১০ টি কৃত্রিম উপগ্রহ সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে মূলত দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে এমনই জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। রবিবার ইম্ফলে কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে একথা জানান ইসরোর চেয়ারম্যান।
ইম্ফলের অনুষ্ঠানে ভি নারায়ণন বলেন, ''আমরা জানি প্রতিবেশী দেশ কেমন। তাই দেশ এবং দেশবাসীর সুরক্ষা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। সেই লক্ষ্যে আমাদের ১০ টি স্যাটেলাইট সারাক্ষণ কাজ করে চলেছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে নজরদারি চালাচ্ছে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। স্ট্র্যাটেজিক কারণেই এসব স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো হচ্ছে।'' ইসরো চেয়ারম্যানের আরও বক্তব্য, ''জানি, স্যাটেলাইটের নজরদারি এবং ড্রোন প্রযুক্তি ছাড়া এই কাজে পুরোপুরি সফল হওয়া সম্ভব নয়। সমুদ্র তীরের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা নজরে রেখেছে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। তবে মূল ফোকাস দেশের উত্তরাংশে। এখানে সর্বক্ষণ নজরদারি রেখে চলেছে আমাদের পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহগুলি।''
এদিনের বক্তব্যে দেশের মহাকাশ গবেষণার অগ্রগতির হদিশও দিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান নারায়ণন। চন্দ্রযান-১ অভিযান চাঁদের পিঠে জলের অণু খুঁজে পেয়েছে, যা এর আগে কোনও দেশই করতে পারেনি বলে দাবি তাঁর। আরও জানান, সম্প্রতি ভারত মহাকাশ গবেষণায় উদীয়মান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০৪০-এর মধ্যে মহাকাশ স্টেশন তৈরি হবে, তাও জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান। তবে বারবার একথা উল্লেখ করেছেন যে দেশবাসীর সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্যাটেলাইটগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অর্থাৎ দেশরক্ষায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইসরোও সমানতালে কাজ করে চলেছে, তা বোঝালেন।
