shono
Advertisement

Breaking News

Dolphin

বিপদসীমায় গাঙ্গেয় ডলফিনরা! রক্ষা করতে ক্রুজ, জলযানে বসছে সেন্সর

পশ্চিমবঙ্গ বন্যপ্রাণ শাখার তরফে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 05:31 PM Jun 23, 2025Updated: 05:33 PM Jun 23, 2025

নব্যেন্দু হাজরা: পর্যটন শিল্পের প্রসারে গঙ্গায় ক্রুজ, বড় জলযান, বোটের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে পণ্যবাহী বার্জের সংখ্যাও। কিন্তু জল পরিবহণের চরিত্র বদলই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গঙ্গেয় ডলফিনদের (শুশুক) কাছে। ক্রুজ এবং বার্জের প্রপেলারের ধাক্কায় মারা যাচ্ছে ডলফিনরা। এরকমটা চলতে থাকলে আগামী দিনে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে দুর্লভ প্রজাতির ডলফিন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ বন্যপ্রাণ শাখার তরফে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ডলফিনকে বাঁচাতে ক্রুজ, বার্জ এবং বড় বড় জলযানে সেন্সর লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সেন্সর লাগানো থাকলে আশপাশে ডলফিন এলেই তা ক্রুজ বা জলযানের চালক বুঝতে পারবেন। সেইমতো নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

Advertisement

ডলফিনের চোখের আকৃতি ছোট এবং এর চোখে লেন্স নেই। লেন্স না থাকার কারণে এরা চোখের সাহায্যে কেবলমাত্র আলো ও অন্ধকার ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পায় না। তাই গঙ্গায় ক্রুজের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে ডলফিনদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। ডলফিনদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে গঙ্গায় ক্রুজের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া ও তাদের গতি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গঙ্গায় যে ডলফিন দেখতে পাওয়া যায়, তাদের দৃষ্টিশক্তি নেই বললে চলে। সেজন্য তাদের 'অন্ধ ডলফিন' বলা হয়ে থাকে। তারা ইকোলোকেশন পদ্ধতিতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে নেয়। এভাবেই তারা জলে চলাচল করে এবং শিকার ধরে।

গাঙ্গেয় ডলফিন বা শুশুক।

ডলফিন মিষ্টি জলের নদীতে বসবাস করে। এই প্রাণীটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, এবং তাদের শাখানদীতে দেখতে পাওয়া যায়। একেকটি প্রাপ্তবয়স্ক ডলফিনের দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ২-২.৬ মিটার পর্যন্ত হয়। মহিলা ডলফিনের ওজন প্রায় ৯০-১৫০ কেজি। ডলফিন তার শিকার চিহ্নিত করতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। ডলফিন কেবলমাত্র ছোট মাছ এবং চিংড়ি খায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নদীতে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার ডলফিনের জন্য ক্ষতিকারক। যেসব জায়গায় ডলফিনরা বসবাস করে, সেখানে ক্রুজের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। তারপরেও অনেক সময় ডলফিনরা ভুল করে ক্রুজের প্রপেলারের সামনে চলে আসে। তখন বিপদ ঘটে। তাই এই সেন্সর লাগলে বিপদ কিছুটা এড়ানো যাবে।

পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে শুশুকদের ক্ষতি।

পরিবেশকর্মীদের আন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালে প্রথম গঙ্গার ডলফিনকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় ঢোকানো হয়। গঙ্গার ডলফিন বাঁচাতে সরকার থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার ফলে গঙ্গায় ডলফিনের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। কিন্তু গঙ্গায় ক্রুজ অন্যান্য বড় জলযানের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর ডলফিন মারা পড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিন বা শুশুক সংরক্ষণে উদ্যোগ।
  • জাহাজ, ক্রুজে সেন্সর লাগানোর ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের।
  • বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চলছে পশ্চিমবঙ্গেও তরফেও।
Advertisement