সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জ্ঞানবাপীর অন্দরে রয়েছে ভগবান বিষ্ণু ও হনুমানের ভাস্কর্যও। এমনটাই জানা যাচ্ছে, সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে।
আগেই জানা গিয়েছিল, রিপোর্টে বলা হয়েছে মসজিদের ওজুখানা চত্বরে অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গেই হনুমান, বিষ্ণু, নান্দীর মূর্তিও থাকার কথা জানাচ্ছে রিপোর্ট। রয়েছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যও। অর্ধেক হনুমান ও অর্ধেক সাপের দৈব ভাস্কর্যও সেখানে মিলেছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে, ওই চত্বরে বিভিন্ন দেবদেবীর সন্ধান পাওয়া সেখানে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির একটি মিশ্রণের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
[আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনেই CAA লাগুর পরিকল্পনা! কোন পথে হাঁটছে কেন্দ্র?]
আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই জায়গাটির পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে হিন্দুপক্ষ। তাদের তরফে মামলাকারীর আর্জি, এএসআই-কে ওই চত্বরটি ভালোভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেখানে থাকা ‘শিবলিঙ্গ’কে অক্ষত রেখেই যেন এই সমীক্ষা করা হয়। এদিকে এএসআইয়ের রিপোর্টকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিতে রাজি নয় মুসলিম পক্ষ। বরং তারা এই রিপোর্ট নিয়ে সন্দিহান।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টেও পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi) ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। তার পরে সোমবার আদালতে জমা পড়ে এএসআইয়ের রিপোর্ট।