সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুরপথে আদানিদের থেকে সুবিধা পেয়েছেন সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ। আদানিদের শেল কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব ছিল সেবি চেয়ারপার্সনের স্বামীরও। আদানি কাণ্ডে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনে ভারতীয় রাজনীতিতে নয়া আলোড়ন ফেলে দিয়েছে মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। যদিও হিন্ডেনবার্গের আনা যাবতীয় অভিযোগ এবার অস্বীকার করলেন সেবির চেয়ারম্যান মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধাভাল বুচ।
গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা (Adani Group)। মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরে ‘মকুব’ ৯.৯ লক্ষ কোটির অনাদায়ী ঋণ! তবু আশার কথা শোনাল কেন্দ্র]
পরে এই নিয়ে তদন্তের দাবি ওঠে। তদন্তে নেমে সেবি কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে দেয় আদানি গোষ্ঠীকে। উলটে কাঠগড়ায় তোলা হয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকেই। শনিবার হিন্ডেনবার্গ আরও একটি বিস্ফোরক রিপোর্টে দাবি করেছে, যে সেবি আদানিদের ক্লিনচিট দিয়েছে, সেই সংস্থার প্রধানও আদানিদের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর।
[আরও পড়ুন: টার্গেট মধ্যবয়সী মহিলারা, যৌনতায় রাজি না হলেই খুন! ১৩ মাসে ৯ খুনে ধৃত সিরিয়াল কিলার]
রবিবারই তড়িঘড়ি হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট খারিজ করেছেন সেবির প্রধান। মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাভাল বুচের তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। এটা আসলে তাঁদের চরিত্রহননের চেষ্টা। সেবি প্রধান কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের যাবতীয় যা আর্থিক লেনদেনের তথ্য সবটাই প্রকাশ্যে আনতে তাঁদের আপত্তি নেই। ‘পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতার স্বার্থে’ খুব শীঘ্রই তাঁরা একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন সেবির প্রধান এবং তাঁর স্বামী।