সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অর্জুন সিং বনাম সোমনাথ শ্যাম দ্বন্দ্ব জারি এখনও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের হস্তক্ষেপ করল তৃণমূল (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় দ্বন্দ্ব নিয়ে কেউ যেন প্রকাশ্যে মুখ না খোলে, এই নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে এ বিষয়ে সতর্ক করার পর শুক্রবার জগদ্দলের বিধায়ক সেমনাথ শ্যামকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে সাবধান করা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi) তাঁকে দলীয় কোন্দল নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করলেন।
সূত্রের খবর, সোমনাথ শ্যামকে (Somnath Shyam) রাজ্য সভাপতি সাফ বলে দিয়েছেন, কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব হলে দলের মধ্যেই তা জানাতে হবে। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। সংগঠন নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তাও জানাতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকেই। তারাই এর সমাধান করবে। যদিও বৈঠক নিয়ে সোমনাথ কিছু বলতে চাননি। স্রেফ জানিয়েছেন, জগদ্দল উৎসবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যায় টিটাগড়ের কেলভিন জুটমিল গেটে INTTUC-র একটি সভায় যোগ দিয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন। তাঁর কথায়, “আগামিদিনে আমিও খুন হতে পারি। আকাশ যাদব খুনের সাক্ষী ভিকি যাদব খুন হয়েছে। এখন ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করছি। এছাড়াও একাধিক খুন-সহ অন্যান্য ঘটনায় আমি সরব হয়েছি। তাই আমিও খুন হতে পারি।”
[আরও পড়ুন: আদালত চত্বরেই সিবিআই আইনজীবীর হেলমেট চুরি! বিচারক বললেন, ‘সবাই মিলে খুঁজুন’]
আর তার পরই সোমনাথ শ্যামের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। এবার থেকে আরও ৪ জন পুলিশ থাকবে তাঁর সঙ্গে। যদিও এই নিরাপত্তাবৃদ্ধি নিয়ে পুলিশের তরফে ‘রুটিন’ বলে জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi) নিজে নৈহাটি গিয়েছিলেন অর্জুন ও সোমনাথকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলতে। অর্জুন এলেও সেদিন সোমনাথ যাননি। পরে বলেছিলেন এমন বৈঠকের কথা তিনি জানতেন না। শেষে এ নিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলে দেন, কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব থাকলে বাইরে মুখ খোলা যাবে না। দলে গণতন্ত্র আছে। সমস্যা থাকলে দলে জানাতে হবে। রাজ্য সভাপতি, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকী গুরুতর সমস্যা হলে তাঁর অফিসকেও তা জানানো যাবে বলে বৈঠকে বুঝিয়ে দেন দলের সুপ্রিমো।