সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত ও বাংলাদেশের (Bangladesh) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে একেবারেই ভাল চোখে দেখে না চিন। ভারতকে(India) পাশ কাটিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে পাশে পেতে তথা বাংলাদেশের বৃহৎ বাজার ধরতে মরিয়া চিন (China)। জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে বেজিং। বাংলাদেশ যাতে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে, সে জন্য দেশটিতে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে চিন। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান শি জিনপিং।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে (Johannesburg) ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। জোহানেসবার্গের হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। চিনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ”রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে চিন। আমরা এই অঞ্চলে অস্থিরতা চাই না।” শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন করতে চায়। কারণ, তারা এই অঞ্চলের শান্তির জন্য ‘থ্রেট’ হয়ে উঠছে। তাদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। শি জিনপিং বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে সহযোগিতার ও আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা চিনের আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত কিছু প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে শি জিনপিংয়ের সহায়তা চেয়েছেন। যা এখন তহবিল সংকটের জন্য আটকে রয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনার কথায়, ”বাংলাদেশ-চিনের সুসম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।”
[আরও পড়ুন: খাবারের মান খারাপ, পরিমাণও কম! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দুবরাজপুরে]
বুধবার জোহানেসেবার্গে নৈশভোজের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে নৈশভোজে বুধবার রাতে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নৈশভোজের আয়োজন করেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এই তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কয়েক গজ দূরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর কাছে হেঁটে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন, তারা কিছুক্ষণ পরস্পরের খোঁজখবর নেন।