সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুপুরী সিওলের (Seoul) ইটাওন। উৎসব আমেজ ভুলে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় ভারী সিওলের বাতাস। রাস্তার ধারে থরে থরে সাজানো মৃতদেহ। প্লাস্টিকে ঢাকা। কিন্তু কীভাবে নিমেষে বদলে গেল শহরের ছবি? কেন ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা?
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিওলের প্রশাসন। রাস্তায় নেমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খোদ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইওন সাক ইওল। গঠিত হয়েছে টাস্ক ফোর্সও। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, উপচে পড়া ভিড়েই বিপত্তি। সংকীর্ণ গলিপথে জমায়েত করেছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। মেতেছিলেন হ্যালোইন উৎসবে। কেউ কেউ কেনাকাটি করতেও ব্যস্ত ছিলেন রাস্তার ধারের দোকান থেকে।
[আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, মানুষের কান্না শুনুন, গণতন্ত্রকে বাঁচান’, বিচারব্যবস্থার কাছে আরজি মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রথমে সবই ঠিকঠাক ছিল। শান্ত ছিল উপস্থিত জনতা। আচমকাই ঠেলাঠেলি শুরু হয়। ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে গলিপথে আটকে পড়েন অনেকে। দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। বহু মানুষের হার্ট অ্যাটাকও হয় বলে খবর। ভিড়ের মাঝে ঠেলাঠেলির জেরে মাটিতে পড়ে যায় অনেকে। পদপিষ্ট হন বহু মানুষ।
প্রিয়জনদের বাঁচাতে রাস্তার ধারেই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেছিলেন অনেকে। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করতে রাস্তার ধারেই বুকে পাম্প করছিলেন অনেকে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে আসে দমকল বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে প্রাথমিকস্তরে ভিড় খালি করতে তাদেরও বেগ পেতে হয়। পরে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। একসঙ্গে এতজনের মৃতদেহ সৎকারের পরিকাঠামো না থাকায় ইন্ডোর জিমে আপাতত দেহগুলি রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শ্বাসনালীর গঠন অসম্পূর্ণ, আজন্ম নীলাভ শিশুকে নতুন জীবন দিল এসএসকেএম]
স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে হ্যালোইন উৎসব চলাকালীন পদপিষ্ট (Halloween stampede)হয়ে মৃত্যু হল অন্তত দেড়শো জনের। যাদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতী। মৃতদের মধ্যে ১৯ জন বিদেশী নাগরিকও রয়েছে। কমবেশি জখম হয়েছে অন্তত ২০০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।