সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ফের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নদিয়ার শান্তিপুরে। এবার শিকার ৭ বছরের এক নাবালিকা। অভিযুক্ত বছর পঁয়তাল্লিশের ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিল উত্তেজিত জনতা। তার পর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, আগেও এই ব্যক্তি একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এবার ছোট মেয়েকে যৌন হেনস্তার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ওঠায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরের ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার। শনিবার বিকেলে ৭ বছরের ওই নাবালিকা অভিযুক্ত মাসেদ শেখের বাড়িতে খেলতে যায়। অভিযোগ, সেসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে ঘরে ডেকে নেয় মাসেদ। এর পর তাকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে। তাতে ভয় পেয়ে যায় ছোট মেয়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসে। এর পর মায়ের কাছে সব খুলে বলে সে। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা মাসেদ শেখকে কার্যত ঘিরে ধরে। চলে বেধড়ক মারধর। এর পর শান্তিপুর থানার পুলিশের হাতে মাসেদ শেখকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে।
নাবালিকার আত্মীয়ার অভিযোগ, তাদের মেয়েকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। তার বিকৃত যৌন লালসার শিকার বাড়ির ছোট মেয়েটি। পরিবারের দাবি, এই প্রথম নয়, মাসেদ শেখ এর আগেও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন পরিবারের একটাই দাবি। অভিযুক্তর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার জানিয়েছেন, শিশু নিগ্রহের একটি অভিযোগ পেয়েছেন, গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।