সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে ঢুকে গুলি চালাল সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া। বুধবার সার্বিয়ার (Serbia) রাজধানী বেলগ্রেডে ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা। গুলিবৃষ্টির মধ্যে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে আট শিশুর। স্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষীও গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছে আরও ছয় শিশু। জখমদের তালিকায় রয়েছেন এক শিক্ষকও। স্কুল চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত বন্দুকবাজকে।
ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ। ভ্লাদিস্লাভ রিবনিকার প্রাইমারি স্কুলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ি থেকে নেমে স্কুলে ঢুকেছে বন্দুকবাজ। কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে সে। তারপরে একটি ক্লাসরুমে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, বাবার বন্দুক নিয়েই স্কুলে ঢুকেছিল ১৪ বছর বয়সি ওই বন্দুকবাজ।
[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে আরও নিচে ভারত, ১৮০টি দেশের মধ্যে স্থান ১৬১ নম্বরে]
ঘটনার সময়ে মাঠে খেলার ক্লাস করছিল কয়েকজন পড়ুয়া। তাদের মধ্যেই একজন বলে, “আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পাই, তবে কিছুই বুঝতে পারিনি।” আরেকজন পড়ুয়ার বাবা জানান, “আমার মেয়ে ভয় পেয়ে কিছুই বলতে পারছিল না। পরে জানতে পারি, ক্লাসের মধ্যে ঢুকে আচমকা গুলি চালাতে থাকে এক কিশোর। প্রাণ বাঁচাতে বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে পড়েন সকলে।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুলের পিছন দিক থেকে আটক করা হয় অভিযুক্তকে। সেই সঙ্গেই জানা যায়, ৮ শিশু-সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাত জন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বন্দুকবাজ ওই স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। সহপাঠীদের মতে, পড়াশোনায় বেশ ভাল ছাত্র ছিল সে। তবে একেবারেই শান্ত ও চুপচাপ থাকত, সহপাঠীরদের সঙ্গেও খুব একটা মেলামেশা করত না। ফলে ওই পড়ুয়া সম্পর্কে সেভাবে কেউ কিছু জানে না।