সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন রুখতে গিয়ে গত ৫ মাস ধরে বন্ধ শম্ভু সীমান্ত। এই ইস্যুতেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বুধবার কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। আদালতের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সরকারের উপর কৃষকদের আস্থা ফেরাতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করুক পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকার। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এখনই খোলা যাবে না শম্ভু সীমান্ত।
কৃষক আন্দোলনের জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শম্ভু সীমান্ত। হরিয়ানা সরকার ব্যারিকেড দিয়ে সীমান্ত আটকে দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর জেরে কৃষকদের দিল্লি চলো আন্দোলন থমকে রয়েছে শম্ভু সীমান্তে। রাস্তা খোলার দাবিতে হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। যেখানে আদালত সীমান্ত খোলার নির্দেশ দিলে, পালটা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হরিয়ানা সরকার। বুধবার এই মামলার শুনানিতেই হরিয়ানা সরকারকে আদালত প্রশ্ন করে, "আপনারা কি কৃষকদের সাথে আলোচনার কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন? আপনাদের মন্ত্রীরা তো কৃষকদের কাছে যেতেই পারেন তাঁদের সমস্যা জানতে। এখানে সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আস্থার ঘাটতি স্পষ্ট। কেন আপনাদের মধ্যে নিরপেক্ষ কেউ নেই? আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে দু'তরফে সেতু বন্ধনের প্রয়োজন রয়েছে।" এর পরই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্যসরকারকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে স্বস্তি, ধর্মঘট প্রত্যাহার আলু ব্যবসায়ীদের]
এদিকে শম্ভু সীমান্ত সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, 'আমরা জানি সীমান্ত বন্ধ থাকার মানুষের প্রবল সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সিমান্তের ওপারে পাঞ্জাবে অন্তত ৫০০ কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে অপেক্ষা করছে। সীমান্ত খুলে দিলে তারা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে। যা রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।' সেই পরিস্থিতি বিচার করে এদিন আদালত আপাতত শম্ভু সীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষে সায় দিলেও। প্রশ্ন তোলা হয়, "যদি সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে তবে তাঁরা দিল্লি আসতে চায় কেন? আপনারা কী কৃষকদের শান্ত করতে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছেন?" কৃষক ও সরকারের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে বলে এদিন জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘তুমি মহিলা, কিস্যু বোঝ না’, বিহার বিধানসভায় নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে বিতর্কে নীতীশ]
শীর্ষ আদালতের প্রস্তাব মেনে সলিসিটর জেনারেল বলেন, হরিয়ানার তরফ থেকে আদালতের পরামর্শ মেনে নেওয়া হবে। এবং কমিটি গঠনের কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি পাঞ্জাবের তরফেও জানানো হয়, 'আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমরাও কমিটি গড়তে প্রস্তুত।' এর পর আদালতের তরফে জানায়, দুই রাজ্য নিরপেক্ষ বেশ কিছু নাম আদালতের কাছে পেশ করবে। সেখান থেকে কাদের কমিটিতে রাখা হবে তা বেছে নেবে আদালত।