সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে সারমেয় দত্তক নেওয়ার জন্য শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন, তাকে খুন করেছেন শশাঙ্ক ভাবসর (Shasanka Bhavsar)। ফেসবুক ভিডিওয় এমনই অভিযোগ করলেন দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শ্রীলেখা মিত্রও।
যিনি পথপশুদের যত্ন করবেন, ভালবাসবেন এবং পথপশুর সঙ্গে ছবি তুলে আপলোড করবেন, তার সঙ্গেই কফি ডেটে যাবেন। এমন কথা দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেই কথা মতোই রেড ভলান্টিয়ার শশাঙ্ক ভাবসরের সঙ্গে কফি ডেটে গিয়েছিলেন তিনি। চায়েওয়ালা ক্যাফেতে (The Chaiwala) হয়েছিল সেই ডেট। যেখানে শশাঙ্ক জানিয়েছিলেন, শ্রীলেখার ডাক নাম যেহেতু টুম্পা, সেই কারণেই তিনি ছোট্ট সারমেয়টিকে সেই নামেই ডাকবেন। জুলাই মাসে ঘটেছিল এই ঘটনা। সোমবার রাতে ফেসবুকে দুঃসংবাদ দেন শশাঙ্ক। ফেসবুকে লেখেন “টুম্পা আর আমাদের মধ্যে নেই।”
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ‘ভারতে এসে প্রাণে বাঁচলাম’, তালিবানের ভয়ে দেশ ছেড়েছিলেন সলমনের নায়িকা Warina Hussain]
রাত ১১.৩১ মিনিট নাগাদ পোস্টটি করেছিলেন শশাঙ্ক। আর ১১.১৯ মিনিট নাগাদ করা ফেসবুক লাইভে দময়ন্তী তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনেন। শ্রীলেখা মিত্রর নাম উল্লেখ করে তিনি জানান, সুস্থ একটি ‘শিশু’কে তিনি দত্তক নেওয়ার জন্য দিয়েছিলেন, যাকে খুন করেছেন শশাঙ্ক। শুধুমাত্র তারকা শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এই কাজ করেছেন তিনি।
দময়ন্তীর অভিযোগ, তিনি মাঝে মাঝে টুম্পার খোঁজ নিতেন। শশাঙ্ক কোনও আপডেট দিতেন না। সোমবার দুপুরেও শশাঙ্ক দময়ন্তীকে জানিয়েছিলেন, টুম্পা ভাল আছে। পুরনো ভিডিও-ও পাঠিয়েছিলেন। শশাঙ্ককে নতুন ভিডিও পাঠাতে বলেছিলেন দময়ন্তী। গিয়ে টুম্পাকে দেখে আসার কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাতেই শশাঙ্ক তাঁকে জানান, দুর্ঘটনায় টুম্পার মৃত্যু হয়েছে। ছোট্ট একটি সারমেয় ঘরে থাকলে কীভাবে তার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন দময়ন্তী।
বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। সেখান থেকেই দময়ন্তীর ভিডিও দেখেছেন এবং কমেন্টবক্সে লেখেন, “আমার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। কেন যে ওই বদমাশটাকে দিলাম। “
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, “শশাঙ্ক ভাভসর তুমি না রেড ভলান্টিয়ার? আমার থেকে যে কুকুরের বাচ্চাকে নিলে তার হদিশ দাও। এত বড় সাহস তোমার? বাচ্চাকে রাখতে না পারলে নিয়েছিলে কেন?” ফেসবুক ভিডিও বার্তা দিতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী।
দময়ন্তীর ভিডিও পোস্ট করার প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে শশাঙ্ক আবার ফেসবুকে লেখেন, “আমার ভুল সত্যিই মেনে নিলাম মাথা পেতে।”