সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশবন্ত থেকে শত্রুঘ্ন- দুই ‘সিংহের’ দাপটে বেজায় বিপাকে বিজেপি। প্রথমজন দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভীর কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। যা শাসকদলের কাছ বেশ অস্বস্তির। বিশেষত লোকসভা নির্বাচনের আগে। অন্যজন তাঁকে সমর্থন করেছেন। এমনকী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত একবার অন্তত সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হয়ে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া। শত্রুঘ্ন সিনহার এই মন্তব্যেই এখন তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
[ পুলিশের মধ্যে চর ঢুকিয়েই কি গ্রেপ্তারি এড়াচ্ছে হানিপ্রীত? ]
সিনেমা থেকে রাজনীতিতে। কিন্তু এখনও সপাট জবাবে যেন বলে ওঠেন ‘খামোস’। যেমন এবার বললেন। অর্থনীতি নিয়ে শাসকদলকে যখন কড়া সমালোচনায় বিঁধেছেন যশবন্ত সিনহা, তখন তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন শত্রুঘ্ন। কোনওরকম ভয়ডর, পদের চিন্তা করেননি। যা উচিত মনে হয়েছে তাই করেছেন। কিন্তু দলে থেকে দলবিরোধী সমালোচনা কেন? প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এ আসলে অরুণ জেটলি বনাম যশবন্ত সিনহার লড়াই। তাতে যশবন্তের টিমে শামিল শত্রুঘ্ন। এদিন সকালে টুইট করে সেটাই নাকচ করেছেন অভিনেতা-সাংসদ। তাঁর মতে কারও পিঠ চাপড়ানিতে তিনি নেই। কিন্তু দেশের অর্থনীতি নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে সেগুলো তে হেলাফেলার নয়। তুচ্ছ নয়। জগজিৎ সিংয়ের গজলের লাইন কোট করে তিনি জানান, কথাযখন উঠেছে, তখন তা অনেক দূর গড়াবে- ‘বাত নিকলেগি তো ফির দূর তলক জায়েগি’। তাই তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত, অন্তত একবার সামনে এসে সব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া। সরকার যে মধ্যবিত্ত সাধারণ ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ভাবছে তা সরাসরি জানানো উচিত।
বস্তুত নোট বাতিল ও জিএসটি চালু করার পর থেকেই অর্থনীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কখনও অর্থনীতিবিদরা তা তুলেছেন। কখনও সাধারণ মানুষের মনে ধোঁয়াশা। সে প্রশ্ন তুলেছেন যশবন্তও। শত্রুঘ্নর মত, এই প্রশ্নকে রাজনৈতিক তরজা হিসেবে না দেখে, এর উত্তর দেওয়া উচিত। আর সে কাজ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই।