সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর মতে, ভারত জোড়ো যাত্রায় গিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন রাহুল। তার ফলেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে দ্বিগুণ আসন জিতবে কংগ্রেস। যারা তাঁকে পাপ্পু বলে কটাক্ষ করেছে, তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন রাহুল, এমনই মনে করেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ। সেই সঙ্গে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha) বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার মতো কিছু করে দেখাক তারা।
একটি সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) যথেষ্ট ভাল সাড়া পেয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ক্যারিশমা কাজ করতে শুরু করেছে। মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন তিনি। আমার মনে হয়, এই যাত্রার ফলে লোকসভায় নিজেদের আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলবে কংগ্রেস।” বিজেপির রথযাত্রার সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রার তুলনা টেনে শত্রুঘ্ন বলেছেন, “বিজেপির রথ যাত্রার মতো নয় ভারত জোড়ো যাত্রা। রাহুল গান্ধী মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নেমে হেঁটেছেন। লক্ষাধিক মানুষ রাহুলকে সমর্থন করেছেন।”
[আরও পড়ুন: গুজরাট সেতু বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ পুতিনের, ‘খুবই দুঃখজনক’, বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট]
রাজীব গান্ধীকে পাপ্পু বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। সেই কটাক্ষের জবাবে শত্রুঘ্ন বলেছেন, “রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতারা। যদি তাঁদের দম থাকে, তাহলে ভারত জোড়ো যাত্রার মতো একটি যাত্রা করে দেখান। এই যাত্রার মাধ্যমে সাধারন মানুষের মধ্যে রাহুলের ম্যাজিক ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনেই এর প্রতিফলন দেখা যাবে। আমি মন থেকে চাই, ভারত জোড়ো যাত্রার ফলে কংগ্রেস লাভবান হোক।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেই আশা আসানসোলের তৃণমূল সাংসদের।
আপাতত ভারত জোড়ো যাত্রা রয়েছে তেলেঙ্গানায়। সোমবার সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মতে, “বর্তমান সরকারের সময়কালে দেশের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আরএসএসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে।” অন্যদিকে, সোমবারই ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিন। তেলেঙ্গানায় ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই প্রয়াত ঠাকুমাকে শ্রদ্ধা জানান রাহুল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবস উপলক্ষ্যেও শ্রদ্ধা জানান ওয়েনাড সাংসদ।