সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিনই রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের নামে নানা কটূক্তি করছেন। যার পালটা জবাব দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরও। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের পরিষদীয় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লা (Anand Swaroop Shukla)-কে । তৃণমূল সুপ্রিমোকে সরাসরি ‘ইসলামিক জঙ্গি’ (Islamic terrorist) বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। যার জেরে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য আনন্দ স্বরূপ শুক্লা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোপুরি বাংলাদেশিতে পরিণত হয়েছেন এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন। দেশের কাছে তিনিই সবথেকে বড় বিপদ। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেই তিনি বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেবেন।”
[আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা দেড়শোর নিচে, অনেকটা কমল আক্রান্তও]
তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয়ত্বে বিশ্বাসী নন। তাই হিন্দু দেবদেবীদের অপমান করেন। তিনি একজন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভেঙে ও হিন্দু দেবদেবীদের অপমান করাই তাঁর কাজ। আসলে বাংলাদেশের হয়েই পুরোপুরি কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরা যেখানে ভারত মাতা কী জয় ও বন্দে মাতরম বললে সম্মান পাচ্ছেন সেখানে তিনি ইসলামিক জঙ্গিদের সমর্থনে কাজ করছেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, CAA সমর্থন আদায়ে রবিবার আলিগড় এলাকায় মিছিল বের করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী রঘুরাজ সিং। সেই মিছিল থেকেই তিনি স্লোগান দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে একটা শব্দ খরচ করলে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।” CAA বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। তার তীব্র বিরোধিতা করে রঘুরাজ সিং বলেন, “মাত্র এক শতাংশ মানুষ CAA’র বিরোধিতা করছে। তারা এ দেশে থাকছে, করের টাকায় খাচ্ছে, আবার এ দেশের নেতাদের বিরুদ্ধেই মুরদাবাদের স্লোগান দিচ্ছে। এদেশে ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান বরদাস্ত করা যাবে না।”