shono
Advertisement

Breaking News

Shershaah Movie Review: ক্যাপ্টেন ‘বিক্রম বাত্রা’র চরিত্রে সিদ্ধার্থ বেশ ভাল, কিন্তু ছবি কি জমল?

ছবির মূল ফোকাস হল ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের হাইলাইটস।
Posted: 08:12 AM Aug 12, 2021Updated: 08:12 AM Aug 12, 2021

বিদিশা চট্টোপাধ‌্যায়: কারগিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বলিউডে ছবি আগেও হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ‌্য ২০০৩ সালের জে পি দত্ত পরিচালিত ‘এল.ও.সি কার্গিল’ (LOC: Kargil) ছবিটি। এই ছবিতে ক‌্যাপ্টেন ‘বিক্রম বাত্রা’-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। পরমবীর চক্র উপাধিতে পুরস্কৃত প্রয়াত ক‌্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা-র বায়োপিক হল ‘শেরশাহ’ (Shershaah)। নাম ভূমিকায় সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Siddharth malhotra)। পরিচালনায় বিষ্ণু বর্ধন।

Advertisement

বলিউডে যে ফরমুলায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ছবিগুলো তৈরি হয় তার থেকে ‘শেরশাহ’ আলাদা নয় কোনও অংশেই। গল্প যেভাবে এগোয় তাতে পুরনো ছবির ছায়া খুঁজে পাবেন দর্শক। কিন্তু তবু ‘শেরশাহ’ টানা বসে দেখতে খুব একটা ক্লান্তি লাগে না। তার কারণ হল অবশ‌্যই ‘বিক্রম বাত্রা’র জীবনের গল্প। পালমপুরের শিক্ষকের ছেলে যেভাবে ‘শেরশাহ’ হয়ে উঠলেন সেই যাত্রাপথকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। ছবিতে ক‌্যাপ্টেন বিক্রমের ছোটবেলা, বেড়ে ওঠা, প্রেম–ফিলার হিসেবে থাকলেও, ছবির মূল ফোকাস হল ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের হাইলাইটস। ‘১৩ জে এ কে রাইফেলস’-এ নিযুক্ত হয়েছিলেন ক‌্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, কাশ্মীরের সোপোরে-তে পোস্টিং। সেখান থেকে কারগিল যুদ্ধের সময় ‘দ্রাস’-এ পোস্টিং। ‘পয়েন্ট ৫১৪০’ এবং ‘পয়েন্ট ৪৮৭৫’, পাকিস্তানি সৈন‌্যদের দখল থেকে কীভাবে বের করে আনেন– ছবির বেশিরভাগটা জুড়েই তাই।

[আরও পড়ুন: Mimi Review: চমকহীন সারোগেসির গল্প, অভিনয়ের জোরে স্পটলাইট কাড়লেন ‘পরমসুন্দরী’ কৃতি]

বিক্রম বাত্রার কোড নেম ছিল ‘শেরশাহ’ এবং প্রথম মিশনে জয়ী হওয়ার পর সাফল‌্যের কোড ছিল ‘ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর’। এবং সেই কারণেই পয়েন্ট ‘৫১৪০’ উদ্ধার করার পরে ‘পয়েন্ট ৪৮৭৫’ উদ্ধার করতেও ক‌্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা ও তাঁর টিমকে পাঠানো হয়। যুদ্ধের দৃশ‌্য দারুণভাবে শুট করা হয়েছে। এবং এই কারণেই ‘শেরশাহ’ দেখতে ভালই লাগে। চিত্রনাট‌্য যতই গোদা হোক, যুদ্ধের এমন ধারাবিবরণী যেটা সত‌্যি ঘটেছে, বানানো গল্প নয়– এটা মনে হলেই গায়ে কাঁটা দেয়। সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে মন্দ লাগে না। তাঁর মিষ্টি চেহারা সত্ত্বেও, মিলিটারি পোশাকে এই চরিত্রে তিনি মানানসই। বাকিদের চরিত্রায়ণে ততটা মন দেননি চিত্রনাট‌্যকার। ডিম্পল চিমার চরিত্রে কিয়ারা আডবানি যত ফুটেজ পেয়েছেন, বিশেষ করে গানের দৃশ‌্যে, তার চেয়ে ‘বিক্রম বাত্রা’-র সহযোদ্ধা ক‌্যাপ্টেন সঞ্জীব জামাল এবং অন‌্যদের ওপর আরও নজর দেওয়া উচিত ছিল। কলকাতার অভিনেতা শতাফ ফিগারকে আমরা দেখি কর্নেল যোগেশকুমার জোশীর চরিত্রে। স্বল্প পরিসরে তাঁকে মন্দ লাগেনি। সব মিলিয়ে ‘শেরশাহ’ একটা অন‌্য স্বাদ এনে দেবে। ছবিটি আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘Dial 100’ Film Review: পুলিশের চরিত্রে এবার মন জয় করতে পারলেন Manoj Bajpayee?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement