সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা পাঁচবার মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি (BJP)। পঞ্চমবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের প্রধান কারিগর হিসাবে ‘লাডলি বেহনা’ প্রকল্পের কথাই উঠে এল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মুখে। উল্লেখ্য, বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তুমুল সমালোচনা করলেও সেই প্রকল্পের আদলেই মধ্যপ্রদেশে লাডলি বেহনা চালু করে বিজেপি। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পই বিপুল সাফল্য এনে দিল গেরুয়া শিবিরকে।
জনতার মন জিততে বিপুল খয়রাতি করছে রাজনৈতিক দলগুলো- দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগে সরব বিজেপি। একাধিক জনসভায় গিয়ে রাজ্যের দেওয়া আর্থিক সাহায্যকে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে খয়রাতির সিদ্ধান্তগুলো। তবে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) নির্বাচনের মাসছয়েক আগে লাডলি বেহনা প্রকল্প শুরু করে বিজেপি। বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার কম আয় থাকা পরিবারের মহিলাদের হাতে প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা দেওয়া শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ শুধু তেলেঙ্গানা, বিজেপির জন্য বন্ধ দক্ষিণের দুয়ার]
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় চালু রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। প্রতি মাসে মহিলাদের ৫০০ টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতায়। তফসিলি মহিলাদের দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এই প্রকল্পের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ভোট টানতে বাংলার এই প্রকল্পকেই নিজেদের রাজ্যে কাজে লাগিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনের তিন মাস আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়, লাডলি বেহনা প্রকল্পে মহিলাদের জন্য সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হবে।
শিবরাজ সিং চৌহানের এই ঘোষণার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি মহিলা ভোট পেয়েছে বিজেপি। জয় নিশ্চিত হতেই শিবরাজ অকপটে ঘোষণা করেন, “আগেই বলেছিলাম মধ্যপ্রদেশে সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। সেটাই হচ্ছে। তবে এই বিপুল জয়ের কৃতিত্ব দেব লাডলি বেহনা প্রকল্পকেই।” বাংলায় খয়রাতির রাজনীতিকে কটাক্ষ করলেও, ভোটে জিততে বিজেপির হাতিয়ার সেই মমতার স্বপ্নের প্রকল্পই।