সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান (Imran Khan) দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই মারতে চেয়েছিলাম। স্বীকারোক্তি ধৃত আততায়ীর। বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের দাবি, ইমরানকে হত্যার ছক কষতে তাকে কেউ মদত করেনি।
বিকেল ৫টা নাগাদ আচমকাই ‘রিয়েল ফ্রিডম’ (Real Freedom) পদযাত্রায় গুলি চলে। জখম হন ইমরান খান। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিল একাধিক আততায়ী। পিস্তল থেকে গুলি ছোঁড়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করা গেলেও ফেরার স্বয়ংস্ক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রধারী আরেক আততায়ী। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম অবশ্য দাবি করছে, এক আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সরকারিভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। এদিকে ধৃত আততায়ীর দাবি, “ইমরানকে মারতে এসেছিলাম। ওঁ দেশকে ভুল পথে চালনা করছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এটা আমি মানতে পারছিলাম না। তাই পদযাত্রার শুরুতেই ঠিক করেছিলাম ওকে মারব।”
[আরও পড়ুন: সম্পত্তির খুঁটিনাটি জানা বাকি এখনও! অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে তৃতীয়বার তলব ইডির]
ধৃতের আরও দাবি সে ‘লোন উলফ’। অর্থাৎ একাই ইমরানকে খতম করার ছক কষেছিল। কেউ তাকে মদত দেয়নি। তার কথায়, “আমাকে কেউ মদত করেনি। কেউ আমার পিছনে নেই।” কিন্তু এ তো গেল এক আততায়ীর কথা। তাহলে স্বয়ংস্ক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রধারী হামলাকারীকে কে পাঠিয়েছিল? কার কথায় সে হামলা চালিয়েছিল? প্রশ্নটা তো থেকেই যাচ্ছে। জবাব খুঁজছে পাকিস্তানের পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃত হামলাকারী এদিন বাইকে চেপে ওয়াজিরাবাদ এসেছিল। কাকার দোকানে বাইক রেখে মিশে গিয়েছিল ইমরানের পদযাত্রার জনজোয়ারে। উদ্দেশ্য একটাই, ইমরানকে খতম। তবে সেই উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যর্থ বন্দুকবাজ। আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে সে।