সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাদুবিদ্যা নাকি অতিপ্রাকৃত? কে বেশি শক্তিশালী? শুভ বনাম অশুভর মধ্যে যুদ্ধে চিরকাল কি সত্যের জয় হয়? নাকি সত্যকে অবদমন করে মাঝেমধ্যে উপরচালাকিতে বিশ্ব জয়ের হাসি হেসে ওঠে মূঢ়ের দল? এসব প্রশ্ন ছিল, আছে, থাকবেও। আর মনস্তত্বের এসব জটিল দ্বন্দ্ব নিয়ে আরও একবার ভাবনার অবকাশ তৈরি করে দিতে চলেছে তরুণ পরিচালক সৌপ্তিক চক্রবর্তীর নতুন সিনেমা 'দেবী'। সিনেমার মহরত শুরু হয়ে গেল। ছোট ও বড়পর্দার একগুচ্ছ চেনা মুখ নিয়ে কাজ করছেন সৌপ্তিক। নতুন চমকের অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।
পরিচালক সৌপ্তিকের সঙ্গে অভিনেত্রী রনিতা দাস।
ছোটপর্দায় একবারই নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর পর্দার পিছনেই মন দিয়েছেন সৌপ্তিক চক্রবর্তী। তথ্যচিত্র ও শর্টফিল্মে হাত পাকিয়েছেন আগে। এবার একধাপ এগিয়ে ফিচার পরিচালনা করছেন সৌপ্তিক। প্রথমবার ছবির বিষয় হিসেবে তিনি যা বেছে নিয়েছেন, তা চেনা ছকের হলেও মনস্তাত্বিক দিক থেকে বেশ জটিল নিঃসন্দেহে। মায়া নামে এক পিশাচিনীর জীবনবৃত্তান্ত উঠে আসবে এই সিনেমায়। শিশুদের হত্যা করে খুলি, হাড়গোড় নিয়ে তন্ত্রসাধনায় কালাজাদুতে সে আরও পারদর্শী হতে চায়। তারপর একদিন 'তোমাকে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে' গোছের নিয়তির বাণী শোনা যায়। এক জাদুকরী কন্যার হাতে রয়েছে মায়ার মরণকাঠি, ১৮ বছর বয়স হলেই সে মায়াকে শেষ করে ফেলবে।
একথা শুনে আর স্থির থাকতে পারে না সেই পিশাচিনী। ভাবী হন্তারককে আগেভাগে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়ে। ঘুরতে ঘুরতে একসময়ে ছদ্মবেশ নিয়ে মায়া ঠিক পৌঁছে সেই পবিত্র সেই কন্যার কাছে। তারপর শুরু হয় নিয়তি নির্ধারিত যুদ্ধ। কী পরিণতি হবে এই যুদ্ধে? এতেই আবর্তিত সৌপ্তিকের নতুন ছবি 'দেবী'। গল্প ও পরিচালনায় সৌপ্তিক নিজে। সংলাপ লিখেছেন সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনায় গোপাল ঘড়াই। চিত্রপরিচালক রিপন হোসেন। এ তো গেল ক্যামেরার নেপথ্য নায়কদের কথা। পর্দায় বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন রনিতা দাস, অঞ্জনা বসু, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমরাজ মাইতিরা। সৌপ্তিকের কাছে প্রত্যাশা অনেক। 'দেবী' তার কতটা পূরণ করে, সেটাই দেখার।
