সুকুমার সরকার, ঢাকা: দখলদারি নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে ফের বড় ধরনের গুলিযুদ্ধে পাঁচজন নিহত হয়েছে। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসী আরসা ও আরএসও নামে দুটি বিবদমান গোষ্ঠীর নাম উঠে এসেছে। কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) উখিয়ায় শুক্রবার ভোরে এই গুলি ঘটে। নিহতরা ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, তার বাড়ি ২৪ বছর। মৃত্যু হয়েছে ১৬ বছরের মোহাম্মদ হামিম, ক্যাম্প-১৩’এর নুরুল আমিন ও ক্যাম্প-১০’এর মহম্মদ নজিমুল্লাহ। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গা (Rohingya) শিবিরে আইনশৃঙ্খলায় দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর জানান, ভোরে ক্যাম্পে দুই দল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলিযুদ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই কাণ্ডে জখম আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান। তিনি জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর মা শান্তিরানি দেবী]
রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কিছুদিন ধরে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই সূত্রে ধরেই শুক্রবার ভোরে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুরো ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বেড়ে চলেছে খুনোখুনি। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহতরা সবাই আরসার সদস্য। তিনি বলেন, কে আরসা, কে আরএসও – সেটি বিষয় নয়। ক্যাম্পে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না। যারাই অপরাধে জড়াবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
[আরও পড়ুন: বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা, পাঁশকুড়া খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানের প্যারোল খারিজ]
এদিকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন তদন্তের জন্য চারদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের (ICC) কৌঁসুলি করিম এ এ খান। এটি ঢাকায় তাঁর দ্বিতীয় সফর। সফরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন করিম খান। বৈঠকে সারা বিশ্বে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইসিসির প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা বিষয়ক তদন্তের জন্য সবরকম সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।