সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি! দু’বছর পর জামিন পেলেন কেরলের বিতর্কিত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান (Siddique Kappan)। ২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করা এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে কাপ্পানের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন থেকে তিনি জেলবন্দি। একই সঙ্গে কাপ্পানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও হয়েছিল। অবশেষে দুটি মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি। সব ঠিক থাকলে দু’বছর বাদে জেল থেকে মুক্তি পাবেন কেরলের এই বিতর্কিত সাংবাদিক।
চলতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর ইউএপিএ (UAPA) মামলায় জামিন পান কাপ্পান। তবে সেসময় জেল থেকে বেরতে পারেননি তিনি। কারণ তখনও ইডি তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্ত করছিল। অবশেষে ইডির দায়ের করা সেই মামলাতেও জামিন পেলেন কেরলের সাংবাদিক। তাঁকে জামিন দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: উত্তর সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে সেনার ট্রাক, নিহত ১৬ জওয়ান]
মালয়ালম নিউজ পোর্টাল ‘আঝিমুখমে’ কাজ করার পাশাপাশি ‘ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস’ তথা KUWJ-র দিল্লি শাখার সম্পাদকের দায়িত্বও ছিল সিদ্দিকের কাঁধে। পুলিশের দাবি ১৯ বছরের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ওই সময় হাথরাসে চরম উত্তেজনা ছিল। সেই সময় সেখানকার করার চেষ্টা করছিলেন সিদ্দিক। কাপ্পানের গ্রেপ্তারি নিয়ে একসময় দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধেরও অভিযোগ উঠেছিল।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যের স্কুলে মুসলিম প্রার্থনা সংগীত, সাসপেন্ড স্কুলের প্রিন্সিপাল]
২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে (Hathras) তরুণীর গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেসময় কাপ্পানের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি ছিল, সেসময় পিএফআই (PFI) এবং তাদের ছাত্র শাখার অন্য কর্মীদের সঙ্গে অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে হাথরাস যাচ্ছিলেন কাপ্পান। তাঁদের কাছে আপত্তিকর সামগ্রী ছিল। ওই এলাকার শান্তিভঙ্গ করাই আসল উদ্দেশ্য ছিল কেরলের ওই সাংবাদিকের। কাপ্পানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত UAPA ধারায় মামলা করে যোগী সরকার। যার ফলে দীর্ঘদিন জামিন পাননি কেরলের ওই সাংবাদিক। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবরের পর থেকে কাপ্পানের ঠাঁই ছিল লখনউ জেল। অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।