সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ভাগ্য বললেও কম বলা হয়! সাপের কামড়ে (Snakebite) দাদার মৃত্যু হয়েছে। শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছেন ছোট ভাই। শেষ পর্যন্ত সাপের কামড়ে মারা গেলেন তিনিও! এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)।
ঠিক কী হয়েছিল? উত্তরপ্রদেশের ভবানীপুরের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের অরবিন্দ মিশ্র মারা যান সাপের কামড়ে। সেই খবর পেয়ে শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসেন ভাই গোবিন্দ। এরপর রাতে ঘুমনোর সময় তাঁকেও কামড়ে দেয় সাপ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পথেই মৃত্যু হয় তাঁরও। এখানেই শেষ নয়। একই পরিবারের আত্মীয় চন্দ্রশেখর পাণ্ডেও এসেছিলেন শেষকৃত্যে অংশ নিতে। সাপ কামড়েছে তাঁকেও। হাসপাতালে ভরতি তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলেই জানা যাচ্ছে। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
জানা গিয়েছে, গোবিন্দ ও চন্দ্রশেখর, দু’জনই লুধিয়ানা থেকে এই গ্রামে এসেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাপের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন গ্রামবাসী। স্থানীয় বিধায়ক কৈলাসনাথ শুক্লা মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি সবরকম সাহায্য়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে সিনিয়র মেডিক্যাল ও প্রশাসনিক কর্মীরাও গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছেন। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা আর যাতে না ঘটে এবং এলাকায় সাপের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আসে, আপাতত সেই দিকেই লক্ষ্য রাখছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সাপে কামড়ের ঘটনায় বিশ্বের মধ্যে প্রথমেই ভারত। এবং সারা বিশ্বে সাপের কামড়ে যত মানুষ মারা যান, তাঁদের অর্ধেকই ভারতীয়। দেশের মধ্যে এব্যাপারে শীর্ষে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে অন্য রাজ্যেও সাপে কামড়ের ঘটনা আকছার ঘটে। বিশেষত বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য বলছে এই দুই দশকে ১২ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সর্পদংশনে।