সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামিকাল শনিবার, ৪ নভেম্বর পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী সৌর ঝড়। সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৩ সালে এক হ্যালোইনে এমনই সৌর ঝড় উঠেছিল, যার ধাক্কায় সুইডেনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল এক ঘণ্টার জন্য। এবার ৩১ অক্টোবর তেমন কিছু না ঘটলেও ৪ নভেম্বর ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়। যার মূলে রয়েছে ওই হ্যালোইনের দিনই সূর্যে আচমকা সৃষ্টি হওয়া শিখার ঝলকানি।
এক মহাকাশ আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের দাবি, সৌরচুম্বকীয় শিখার দাপটে তৈরি হয়েছে আগুনের ঝাপট। আর তার ফলেই শনিবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে করোনাল মাস ইজেকশন। প্রাথমিক ভাবে এই ঝড়কে শনাক্ত করেছিল নাসা। কিন্তু ধারণা ছিল, হয়তো পৃথিবীকে স্পর্শ করবে না এই ঝড়। তবে সেই ধারণা ছিল নেহাতই প্রাথমিক। পরে দেখা যায় ওই বিকিরণ নীল রঙের এই গ্রহের দিকেই আসবে। ফলে সৌর ঝড়ের পাল্লায় পড়তেই হবে।
সৌর ঝড় (Solar Storm) ঠিক কী? সূর্য (Sun) লাগাতার পৃথিবীর দিকে তড়িদচুম্বকীয় কণা ছুঁড়ে মারতে থাকে। এর ফলে তৈরি হয় সৌর বাতাস। সেই বাতাসকে পৃথিবী তার মেরুদেশে পাঠিয়ে দেয়। ওই সৌর বাতাসের থেকে কোনও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় না আমাদের গ্রহকে। কিন্তু একশো বছরে একবার সৌর বাতাস থেকে সৃষ্টি হয় সাংঘাতিক সৌরঝড়ের। গবেষকদের আশঙ্কা, এর ধাক্কায় বড়সড় ক্ষতি হতে পারে পৃথিবীর। ২০২৫ সালে তেমনই এক ভয়াবহ সৌর ঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ঘিরে আগেই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এমনও বলা হচ্ছে, সেই ঝড় চলতে পারে কয়েক মাস! একে বলা হচ্ছে ‘সোলার ম্যাক্সিমাম’। তার আগেই এই সৌর ঝড়কে ঘিরে আশঙ্কা বাড়ছে।