ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (International Kolkata Book Fair) আপাতত স্থগিত। তারপরও কেন একই নামে কলকাতার বুকে আরও একটি বইমেলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। মঙ্গলবার তাদের তরফে এ নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।
আগামী ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঋষিকেশ পার্কে প্রথম এই বইমেলার আয়োজন হয়েছে। কলেজ স্ট্রিটের বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় এই বইমেলা হচ্ছে। যা নিয়ে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে একযোগে জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে জেনেও কলকাতা শহরের একটি ছোট পার্কে কলকাতা বইমেলা নামে একটি বইমেলার আয়োজন করার অর্থ সাধারণ মানুষ তথা বইপ্রেমী মানুষকে এবং অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্ত করা।” ক্ষোভের সুরে তাঁরা বলেছেন, “গত ৪৪ বছর ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা আমাদের দেশে যে গর্বের স্থান অধিকার করে আছে তাকে ক্ষুন্ন করা।”
[আরও পড়ুন: চারু মার্কেট থানার সামনে বিজেপির মিছিলে ‘হামলা’, রাজ্যপালের কাছে নালিশ মুকুলের]
তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই বইমেলা নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তাদের প্রশ্ন কেবল একই নামে এই কোভিড পরিস্থিতিতে এমন বইমেলা নিয়ে। একই ধরনের এমন দ্বিতীয় নাম ট্রেডমার্ক আইনের পরিপন্থী।
গিল্ড কর্তৃপক্ষর তরফে এই বইমেলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পালটা প্রশ্ন তুলেছে ‘কলকাতা বইমেলা ২০২১’ কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে এক প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার রূপা মজুমদার জানিয়েছেন, “বই পড়ার আনন্দে আমরা মেলা করছি। এমন মেলা রাজ্যে অসংখ্য হচ্ছে। অনেক বইমেলাও হচ্ছে। রক্তদান শিবির, রাজনৈতিক কর্মসূচিও হচ্ছে। তবে আমাদের এই বইমেলা নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?”
তাঁর আরও বক্তব্য, “এ বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা আপাতত স্থগিত রয়েছে। অত বড় মাপের একটা বইমেলা। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা কী করে হয়?” গিল্ডের এই বিবৃতি নিয়ে রূপার বক্তব্য, “আমফানে অসংখ্য ছোট প্রকাশকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের একটু সুরাহা করে দিতে। যে কারণে তাদের স্টল করতে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। গিল্ডের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝগড়া নেই। তারা এভাবে বিবৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে আমাদের এই পাড়ার ছোট মেলার স্তরে নিজেদের নামিয়ে আনল।”