shono
Advertisement

প্রার্থী না হওয়ার ক্ষোভ, মমতা ঘনিষ্ঠ হয়েও বিজেপিতে সোনালি গুহ, সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’

যোগ দিলেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস এবং অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও।
Posted: 04:30 PM Mar 08, 2021Updated: 05:58 PM Mar 08, 2021

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভোটের দিন কয়েক আগেও দলবদলে ইতি পড়ছে না। কেউ তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হতে না পেরে, কেউ আবার পছন্দমতো আসনে লড়াইয়ের সুযোগ না পেয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। সোমবারই বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দপ্তরে শীর্ষ নেতৃত্বের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের একঝাঁক নেতানেত্রী। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ সোনালি গুহ, সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’ তথা বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য,  বসিরহাট দক্ষিণে তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, শিবপুরের বিধায়ক অশীতিপর জটু লাহিড়ি, সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং টলিউডের অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। মন মতো আসনে দাঁড়াতে না পেয়ে দল ছাড়লেন হবিবপুরের বিদায়ী বিধায়ক সরলা মুর্মু। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য। ফলে ভোটের ঠিক আগে তৃণমূলে ভাঙন আরও বাড়ল, এ কথা বলাই যায়।

Advertisement

সোনালি গুহ সাতগাছিয়ার বেশ কয়েকবারের বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু এবার তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে সরাসরি ভোটযুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর প্রতি স্নেহ থেকেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন সিদ্ধান্ত, তেমনটা মানতে চাননি সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই নিজের নাম না দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালি গুহ। অভিমানের সুরে বলেছিলেন নিজের বেদনার কথা। তাঁর মনে হয়েছিল যে ‘দিদি’ তাঁকে ভুলেছেন। দিন দুই যেতে না যেতেই কান্না মুছে সোনালি সিদ্ধান্ত নেন বিজেপিতে যোগদানের। সেই মতো সোমবার হেস্টিংসের অফিসে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন সাতগাছিয়ার বিধায়ক।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ সোমেন মিত্রের স্ত্রীর, বিজেপিতে যাচ্ছেন শিখা?]

মালদহের হবিবপুর থেকে সরলা মুর্মুকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু কেন্দ্র তাঁর নাপসন্দ। পুরাতন মালদহ থেকে দাঁড়াতে চান তিনি। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দিলেন সরলা মুর্মু। তাঁরই সঙ্গে জেলা পরিষদের অন্তত ১৪ জন সদস্যও তৃণমূল ছেড়ে নাম লেখালেন পদ্মশিবিরে।আর এর ফলে মালদহ জেলা পরিষদ এখন বিজেপির দখলে চলে গেল। এখন দেখার, পুরাতন মালদহ থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন কি না। এদিকে, বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফল হয়েও এবার তিনি তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানোর টিকিট পাননি। এনিয়ে প্রথমদিকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনপ্রধানে খেলা ফুটবলার। কিন্তু সোমবার তিনিও যোগ দিলেন বিজেপিতে। সবমিলিয়ে প্রথম দফা ভোটের দিন কয়েক আগেও ভাঙন অব্যাহত শাসকদলে।

[আরও পড়ুন: অনুপ্রেরণা সেই মানসী, প্রথম মহিলা ক্যাব চালকের পথেই আরও ৩৫]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement