সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমা বেশিরভাগ ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে বাস্তব জীবনে তিনিই সংকট মোচন করে বিপদে পড়া মানুষের ‘মাসিহা’ হয়ে উঠেছে। নিরন্তর মানবসেবার ব্রত নিয়েছেন সোনু সুদ (Sonu Sood)। এবার বিহারে ‘গ্র্যাজুয়েট চা-ওয়ালি’ (Graduate Chaiwali) হিসেবে পরিচিত প্রিয়াঙ্কা গুপ্তর পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর প্রায় দু’বছর চাকরির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোথাও তেমন কোনও সুযোগ পাননি। শেষে পাটনা উইমেন’স কলেজের কাছে নিজের চায়ের দোকান খোলেন। জানা গিয়েছে, দখল বিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল পাটনার মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। দোকান খোলার অনেক চেষ্টা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কোনও লাভ হয়নি। শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দেন বিহারের তরুণী।
[আরও পড়ুন: ‘এমন অনুপ্রেরণা…’, এপার বাংলার ঐন্দ্রিলা শর্মাকে কুর্নিশ ওপার বাংলার জয়া আহসানের]
ভিডিওয় কাঁদতে কাঁদতে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “ভেবেছিলাম বিহারে অন্যরকম কিছু করছি। অনেকে পাশেও ছিলেন। কিন্তু এটা তো বিহার। এখানে নারীরা রান্নাঘরেই শোভা পান। মেয়েদের উন্নতি করার অধিকার নেই। আরও তো অনেক দোকান রয়েছে বিহারে। পাটনা অবৈধভাবে মদ বিক্রির মতো কত কারবার হচ্ছে। সেখানে সরকারের সিস্টেম নিষ্ক্রিয়। কিন্তু কোনও মহিলা যদি নিজের মতো ব্যবসা করতে চায়, তাহলে তাঁকে বারবার বিরক্ত করা হয়। হ্যাঁ, তাই তো হবে। আমার তো রান্না করা, ঘর মোছাই কাজ। বিয়ে করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। আমার তো নিজের মতো ব্যবসা করার অধিকার থাকা উচিত নয়।”
প্রিয়াঙ্কার এই ভিডিও দেখার পরই ব্যবস্থা নেন সোনু সুদ। তার জন্য বিশেষ জায়গার বন্দোবস্ত করে দেন। সেকথা জানিয়ে টুইটারে লেখেন, “প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকানের জন্য জায়গার বন্দোবস্ত করে দিয়েছি। এবার আর প্রিয়াঙ্কাকে সেখান থেকে কেউ সরাতে পারবে না। বিহারে গিয়ে খুব শিগগিরিই আপনার হাতে তৈরি চা খাব। জয় হিন্দ।”