সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্মযাজকদের হাতে নিগৃহীত বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত। তাঁর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে চড় মারার, কান ধরে ওঠ-বোস করানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিধায়ক সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীমহলের একাংশ। বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষক ও আইনজীবীরা। ঘটনার কড়া নিন্দা করে বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সরি স্যার” আন্দোলনে মুখর হয়ে উঠেছে। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে কী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনকে এর জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনার দিন? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কাছের একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে শ্যামলকান্তির বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তোলেন ওসমান। কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্মগুরুদের কথা না মেনে চলায় শ্যামলকান্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। বাংলাদেশে এই ঘটনা নজিরবিহীন নয় অবশ্য, ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এরকম হামলা বিভিন্ন সময় হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত শ্যামলকান্তি ভক্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। ধর্ম নিয়ে এরকম বাড়াবাড়ির এবং রাজনীতির অবসান চান বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত শ্যামলকান্তি ভক্ত। তিনি বলেন, “ইদানীং ধর্ম নিয়ে রাজনীতিটা এ দেশে বেশি হচ্ছে। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি চলছে।” শ্যামলকান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগের তদন্ত করে সে দেশের শিক্ষামন্ত্রকও কোনও সত্যতা পায়নি। তবে গোটা দেশ যেভাবে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে অভিভূত শ্যামলকান্তিবাবু।