সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ২০ সম্মেলনে (G20 Summit) জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফর ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য নির্দিষ্ট বিলাসবহুল ঘর নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানদের বিশেষ ঘরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই ঘরে থাকতে অস্বীকার করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডা প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয়েছে জল্পনা। উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির উপর ভরসা রাখতে পারেননি ট্রুডো? খবরের ভিতরের খবর বলছে অন্য গল্প।
জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসে দিল্লির ললিত হোটেলে ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য বিশেষ ‘প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট’-এর ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কানাডা প্রতিনিধি দল সেই ঘরে থাকতে অস্বীকার করে। বদলে হোটেলের সাধারণ ঘরে থেকেছিলেন তারা। সূত্রের খবর, কানাডা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, খরচ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও ভারতের তরফে দাবি করা হয়, এমন কোনও তথ্য তাদের জানা ছিল না। তাহলে কি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট’-এর দায়িত্বে ভারতীয় সংস্থা থাকার জন্যই সেই ঘরে থাকলেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী? ভারত-কানাডার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই সেই প্রশ্ন উঠে আসছে বারবার।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন থ্রিলার! NIA’র ওয়ান্টেড লিস্ট প্রকাশ হতেই কানাডায় ‘খুন’ খলিস্তানি]
প্রসঙ্গত, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে খলিস্তানিদের (Khalistan) দাবিতে সায় দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। সেদেশের খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় (Canada) নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা। যা নিয়ে ভারত-কানাডার টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। সেই সংঘাতের বীজ কি জি-২০ সম্মেলমেই বোন হয়ে গিয়েছিল, উঠছে প্রশ্ন।