সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের (COVID-19) নতুন প্রজাতি ওমিক্রন সম্পর্কে বিশ্বকে প্রথম সতর্ক করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। তারাই জানিয়েছিল, বৎসোয়ানায় শনাক্ত হয়েছে কোভিডের নয়া প্রজাতি, কিন্তু বিশ্বকে হুঁশিয়ার করায় পিঠ চাপড়ানির বদলে এখন মিলছে দোষারোপ! অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিকে না কি পড়তে হচ্ছে শাস্তির মুখে।
হালকা জ্বর। তার সঙ্গে অল্প সর্দি-কাশি। গত কয়েকদিনে এমন বেশ কয়েকজন রোগী দেখেছেন অ্যাঞ্জেলিক কোর্ৎজে। প্রিটোরিয়ার এই চিকিৎসকের প্রথম সন্দেহ জাগে ‘ওমিক্রন’ নিয়ে। সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় গত দশদিনে এমন ৩০ জন রোগীকে দেখার পর। প্রিটোরিয়ার এই চিকিৎসক মারফতই দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসন করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের সন্ধান পায়।
[আরও পড়ুন: BJP CANDIDATE LIST: কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, প্রাধান্য মহিলা ও তরুণদের]
অ্যাঞ্জেলিক জানান, “গত দশদিনে আমি এমন অনেক রোগী দেখেছি, যাঁদের বয়স ৪০-এর নিচে। যাঁদের অনেকের একটি করে টিকা নেওয়া আছে। প্রথমে আমার তেমন কিছু সন্দেহ হয়নি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত।” ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার এই নতুন প্রজাতিকে ডেল্টার থেকেও ভয়ংকর বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু প্রিটোরিয়ার এই চিকিৎসকের পালটা দাবি, ওমিক্রনের ক্ষমতা ডেল্টার মতো নয়।
গোটা বিষয়টি সামনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। তারা জানিয়েছে, নতুন স্ট্রেন সম্পর্কে হু-কে সতর্ক করার পরই বিশ্বের অনেক দেশ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ থেকে উড়ানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “অত্যাধুনিক জিনোমিক সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি এবং দ্রুত ভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলি শনাক্ত করতে পারার ক্ষমতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে শাস্তি দেওয়ার সমান হল এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। বরং বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য আমাদের প্রশংসা প্রাপ্য ছিল।”