সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় জল (Radioactive) ছাড়বে জাপান। আর এই বিপদ থেকে বাঁচতে আপাতত নুনের দ্বারস্থ দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। জানা যাচ্ছে, পূর্ব এশিয়ার দেশটি নুনের পাশাপাশি সি ফুডও জমাচ্ছে তেজস্ক্রিয়তার কবল থেকে বাঁচতে।
কিন্তু কেন সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জাপানের? আসলে ২০১১ সালের ভয়াবহ সুনামি ও ভূমিকম্পের ধাক্কায় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতেই ১০ লক্ষ মেট্রিক টন জল ব্যবহার করবে জাপান। সেই তেজস্ক্রিয় জল মিশবে সমুদ্রে। টোকিও অবশ্য দাবি করছে, ওই জল নিরাপদ। আইসোটোপগুলিকে সরাতে জল ফিল্টার করেই ছাড়া হবে। তবু আতঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়া। ভয়ে ভয়ে রয়েছেন সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবী ও দোকানদাররা।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিলের নতুন কোচ অ্যানসেলোত্তি, কবে থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি?]
এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই নুনের চাহিদা ২৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সেদেশের সাধারণ নাগরিকরা মনে করছেন, সমুদ্রের জলে ওই তেজস্ক্রিয় জল মিশলে তা দূষিত হবে। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের অবনতি হবে। ফলে নুন ও সি ফুডের দামও বাড়বে. তাই আগে থেকে সেগুলি মজুত করে রাখতে শুরু করেছেন তাঁরা।
কিন্তু নুনের সাহায্যে কীভাবে বাঁচা সম্ভব তেজস্ক্রিয়তার কবল থেকে? আসলে নুন তথা সোডিয়াম ক্লোরাইডে থাকা সোডিয়াম তেজস্ক্রিয়তাকে শুষে নেয়, এমনটা বলা হয়। আর তাই নুনের দ্বারস্থ হয়েই পরিত্রাণ পেতে চাইছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা।