সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাসার ঘড়িতে কাঁটা বলছে, সময় ভোর ৫ টা ৫ মিনিট, মঙ্গলবার। স্থান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। ৯ মাস মহাশূন্যে কাটানোর পর অবশেষে স্পেস স্টেশনকে বিদায় জানিয়ে পৃথিবীর পথে পাড়ি দিলেন দুই নভোচর সুনীতা উইলিয়মস, বুচ উইলমোর। ভারতে তখন ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়েছে সকাল ১০টা ৩৫। মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের পাঠানো স্পেস এক্স ড্রাগন ক্যাপসুল ক্রু নাইনে টানা ১৭ ঘণ্টার যাত্রাপথ। নাসা সূত্রে খবর, ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডার উপকূলের জলভাগেই অবতরণ করবে তাঁদের রকেট। এই শেষ ধাপ অর্থাৎ অবতরণের সময়ে বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। যদিও মাস্কের সংস্থার দাবি, নিরাপদেই দুই নভোচরকে নিয়ে রকেট পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে ফেলবে নির্ধারিত সময়।
২০২৪ সালের জুনে মার্কিন সংস্থা স্টারলাইনারের রকেটে চড়ে মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন নাসার দুই অভিজ্ঞ নভোচর সুনীতা উইলিয়মস, বুচ উইলমোর। কথা ছিল, আটদিন পরই ফিরবেন। কিন্তু রকেটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেই ৮ দিন গড়াল ৯ মাসে! সবশেষে মহাশূন্যে বন্দিদশা কাটিয়ে এলন মাস্কের পাঠানো ফ্যালকন নাইন (Falcon-9) রকেটে সুনীতা এবং বুচ মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাড়ি দিলেন পৃথিবীর পথে। তার আগে চার নভোচরের হাতে তুলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সমস্ত কাজের দায়িত্ব।
নাসার সময় সরণী অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ৯টা ১১ নাগাদ (ভারতীয় সময় রাত ২ টো ৪১) পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে আবর্তন শুরু করার কথা সুনীতাদের রকেটের। এরপর রাত প্রায় ৯.৫৭ (ভারতীয় সময় রাত ৩.২৭) ফ্লোরিডার উপকূলে জলভাগে ধীরে ধীরে নামবে ফ্যালকন নাইন ক্যাপসুল। সব ঠিক থাকলে সময় ধরে সফলভাবেই রকেট থেকে বেরিয়ে ভূপৃষ্ঠে পা রাখবেন দুই নভোচর। তাঁদের নিয়ে উৎসবে মাততে তৈরি সহকর্মীরা।