shono
Advertisement

Breaking News

আর্থিক প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ধোনির ২০১১ সালের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য! কে তিনি?

বেজায় চাপে ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ!
Posted: 07:49 PM Nov 23, 2023Updated: 07:49 PM Nov 23, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক ও শ্রীসন্থ (S Sreesanth) যেন সমার্থক। এর আগে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ক্রিকেট জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল। এবার মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রাক্তন সতীর্থের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠে গেল। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ (ICC 2011 World Cup) জয়ী দলের অন্যতম সদস্যের বিরুদ্ধে, কেরলের সতীশ গোপালন নামক যুবক ১৮.৭০ লাখ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এই আর্থিক অভিযোগের তালিকায় প্রাক্তন জোরে বোলার শ্রীসন্থের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আর দুই ব্যক্তি। কেরলের এক যুবক শ্রীসন্থ ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি ২০১৯ সালের। সেই সময় সতীশ গোপালন নামে এক ব্যক্তির কাছে রাজীব কুমার এবং ভেঙ্কটেশ কিনি দাবি করেন যে শ্রীসন্থের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁরা একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে চান। আর সেকারণেই সতীশের কাছ থেকে ১৮.৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাডেমি কর্নাটকের কোল্লুরে তৈরি হওয়ার কথা ছিল। সতীশের অভিযোগ, তাঁকে এই অ্যাকডেমির পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেকারণেই তিনি এই বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও সেই অ্যাকাডেমির কাজ কিছুই এগোয়নি। আর তাই শ্রীসন্থ এবং তাঁর দুই পরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ইস্যু নিয়ে শ্রীসন্থ মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

[আরও পড়ুন: ‘রোহিত নিঃস্বার্থ বলেই বিশ্বকাপে শতরানের কথা ভাবেনি’, অকপটে জানিয়ে দিলেন অশ্বিন]

বেজায় চাপে শ্রীসন্থ।

এর আগে ২০১৩ সালে আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় শ্রীসন্থ এবং তাঁর দুই সতীর্থ অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চৌহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ম্যাচ গড়াপেটার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। বিসিসিআই-এর তদন্তে যাবতীয় অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হয় এবং শ্রীসন্থকে আজীবনের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও ২০১৫ সালে দিল্লি আদালত উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ‘মকোকা’ আইনের আওতায় শ্রীসন্থের উপর থেকে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বোর্ডের তরফ থেকেও নির্বাসন কমিয়ে ৭ বছরের করা হয়।

নির্বাসন সরে যাওয়ার পর শ্রীসন্থ এক মরশুম কেরলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন। কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। এমনকি রুপোলি পর্দার জগতেও পা রেখেছিলেন। এরইমধ্যে চলে সামনে এল আর্থিক প্রতারণার মতো মারাত্মক অভিযোগ। এখন এই বিতর্ক থেকে ধোনির প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ কীভাবে মুক্তি পান, সেটাই দেখার।

[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা সিএসকে শিবিরে, আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ১৬ কোটির তারকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement