সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে এক ফুটবলার নিজের গোলেই বল মেরে বসলেন। গোলকিপার তখন নীরব দর্শক। প্রতিপক্ষের ফুটবলাররাও ধারেপাশে নেই। দিল্লি ফুটবল লিগের একটি ম্যাচের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও দেখার পরে নেটিজেনরা ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তোলেন। মঙ্গলবার দিল্লি সকার সংস্থা সাসপেন্ড করল আহবাব ফুটবল ক্লাবকে (Ahbab Football Club)। তদন্তের ফলাফল বেরনো না পর্যন্ত এই সাসপেনশন লাগু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় ফুটবলে ম্যাচ গড়াপেটার (Match Fixing) অভিযোগের কথা আগেও শোনা গিয়েছে। দিল্লি ফুটবল লিগের একটি ম্যাচের যে ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়, তা দেখার পরে সোশাল মিডিয়ায় কেউ লিখলেন, ”ম্যাচ গড়াপেটার জঘন্যতম নিদর্শন।” কেউ আবার লিখেছেন, ”এতে কলঙ্কিত হল দেশের ফুটবলই।”
[আরও পড়ুন: ‘গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা করে বড় ক্ষতি হয়েছে!’, বিদায়বেলায় অকপট মনোজ]
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে কী দেখা গিয়েছে? একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে এক ফুটবলার নিজের গোলেই বল পাঠিয়ে দিচ্ছেন। গোলকিপার নিজের পজিশনেও নেই। তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ফুটবলাররা যখন নিজেদের মধ্যে পাস খেলছিলেন, তখন প্রতিপক্ষের কোনও ফুটবলারকেই বাধা দিতে দেখা যায়নি।
আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে একাধিক ফুটবলার পাস খেলছেন। প্রতিপক্ষের দুজন ফুটবলার বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করছেন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে এক ফুটবলার হঠাৎই নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দিলেন। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিক্রিয়ার ঝড় ওঠে।
কেউ লেখেন, ভারতীয় ফুটবলের এটাই বাস্তব ঘটনা। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তৃপক্ষ, ফুটবলার, রেফারি সবাই জড়িয়ে পড়েছে…জুয়া তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এই ভিডিওটি দিল্লির সর্বোচ্চ লিগের। ম্যাচটি ফিক্সড। এই পরিস্থিতিতে ফুটবল খেলার কোনও অর্থই নেই। অত্যন্ত লজ্জাজনক দৃশ্য।
রঞ্জিৎ বাজাজ টুইট করেছেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, দিল্লি ফুটবলে ব্যাপক ম্যাচ গড়াপেটা হয়। আমি বারংবার একথা বলে আসছি…দেশের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত ফুটবল লিগ। রেফারি, দলের মালিক–সবাই এর সঙ্গে জড়িত। খেলোয়াড়রাও জানে। তবে কেউ এনিয়ে মাথা ঘামায় না। আমি একমাস আগে টুইট করেছিলাম ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে। কিন্তু কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আপৎকালীন ভিত্তিতে মিটিং হয়। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় আহবাব ফুটবল ক্লাবকে।