সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সময়ে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামে অ্যাথলিটরা নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের তাড়াতাড়ি বের করে দেওয়া হচ্ছে স্টেডিয়াম থেকে। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, এক আইএএস অফিসার তাঁর পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে যান ওই স্টেডিয়ামে। সেই কারণেই তাড়াতাড়ি স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনই একটা খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) নির্দেশ দিয়েছেন রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে সরকারের অধীনস্থ সমস্ত স্টেডিয়াম।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি প্রশাসনের অধীনে থাকা থগরাজ স্টেডিয়ামে (Thyagraj Stadium)। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, গত কয়েক মাস ধরে কোচ এবং অ্যাথলিটদের তাড়াতাড়ি ট্রেনিং শেষ করতে বলা হচ্ছে। সন্ধে সাতটার মধ্যে যেন স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হয়, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, সন্ধে সাড়ে সাতটায় দিল্লির রাজস্ব দপ্তরের মুখ্যসচিব সঞ্জীব খিরওয়ার ওই স্টেডিয়ামে হাঁটতে যান।
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কোচ জানিয়েছেন, “সন্ধে হয়ে গেলেও আমরা আলো জ্বালিয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করতাম। কিন্তু এখন আমাদের সন্ধে সাতটার মধ্যে কাজ শেষ করে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কারণ এক আইএএস অফিসার তাঁর পোষ্যকে নিয়ে এখানে হাঁটতে আসেন। আমাদের ট্রেনিং এবং প্র্যাকটিস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” যদিও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই আইএএস অফিসার (IAS Officer)। তিনি বলেন, ওই স্টেডিয়ামে হাঁটতে গেলেও তার জন্য খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিসে সমস্যা হয়নি।
স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অজিত চৌধুরি জানিয়েছেন, “বিকেলে প্র্যাকটিস করার সময় চারটে থেকে ছটা। এই স্টেডিয়ামটি দিল্লি সরকারের একটি অফিস। তাই সাতটার পরে খোলা রাখার নিয়ম নেই।” কিন্তু সাতটায় স্টেডিয়াম বন্ধ করে দিতে হবে, এমন কোনও সরকারি নির্দেশ দেখাতে পারেননি তিনি। কোনও সরকারি আধিকারিক স্টেডিয়ামে আসেন কিনা, তা নিয়েও কিছু বলেননি তিনি।
এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ক্রীড়াপ্রেমীরা। দিল্লি প্রশাসনের নজরে পড়ে বিষয়টি। দিল্লির (Delhi Government) উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া টুইট করে বলেন, “বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের খবর আমাদের নজরে এসেছে। স্পোর্টস সংক্রান্ত পরিষেবা তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ প্র্যাকটিস করতে পারছেন না অ্যাথলিটরা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন, দিল্লি সরকারের অধীনে থাকা স্পোর্টস পরিষেবা রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।”