সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে যুব বিশ্বকাপ নামক এক মহাকুম্ভের শেষ ল্যাপের ছবি। যে ছবি অবাক করছে গোটা বিশ্বকে। বলা ভাল, যে ফুটবলের খুদেরা লজ্জায় ফেলে দিয়েছে ক্রিকেটের দাদাদেরও। কারণ ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপকেও নাকি দর্শক সংখ্যার নিরিখে পিছনে ফেলতে চলেছে এবারের যুব বিশ্বকাপ। হ্যাঁ, তথ্য এমন কথাই বলছে।
ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সেবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধোনিবাহিনী। আর গোটা টুর্নামেন্ট মিলিয়ে স্টেডিয়ামে দর্শকের সংখ্যা ছিল ১২ লক্ষ ২৯ হাজার ৮২৬। যা কিনা ভারতে হওয়া যুব বিশ্বকাপের চেয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭৯৯-য় এগিয়ে। কিন্তু এখনও আসল লড়াই তো বাকি। যে দুটি আবার হবে ভারতীয় ফুটবলের মক্কায়। তাই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে খুদেরা অনেকখানি এগিয়ে যাবে তা বলাইবাহুল্য। শুধু তাই নয়, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো নিশ্চিত, ১৯৮৫ সালে চিনে আয়োজিত যুব বিশ্বকাপকেও পিছনে ফেলে দেবেন এবারের ফুটবলপ্রেমীরা। এমনকী অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের (১৩ লক্ষ) সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যাকেও হার মানাতে পারে ভারতীয়দের ফুটবল আবেগ। আশা ইনফ্যান্টিনোর।
[দুঃখ নেই, হিঙ্গিসের বিদায়বেলায় প্রশংসা করেও কেন এমন বললেন ফেডেরার?]
কাপ ফাইনাল উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতার ইকো পার্কে এক রাজকীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছিল ফিফা। প্রত্যাশামতোই সেখানে হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শামক দাভারের নৃত্যানুষ্ঠানের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে শিবামণির ড্রাম। বিক্রম ঘোষের ফিউশন থেকে শুরু করে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচে জমজমাট সেই আয়োজন। ফিফা আয়োজিত এই ডিনারে ড্রেস কোড পরেই হাজির এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল প্যাটেল। ফিফার লোকজনরাও সেজে উঠেছেন শহরের ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের ডিজাইন করা কুর্তা পাজামায়। আর মহিলা অতিথিদের দেখা গেল চুড়িদার, স্কার্ট-কুর্তিতে। বিদেশিদের খাওয়ার মেনুতেও ঢুকে পড়েছে ভারতীয় ডিশ। এ দেশের সঙ্গে ফিফাকে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশিয়ে দিতেই যেন এমন উদ্যোগ। রাতের এই নৈশভোজে কলকাতার দুই বড় ক্লাব মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এটিকে-কেও। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, মহমেডান ডাক পায়নি।
[মা ও পরিবারকে হ্যাটট্রিক উৎসর্গ করল ভবিষ্যতের তারকা ব্রিউস্টার]
এতো গেল শুক্রবারের কথা। ঠিক হয়েছে ফাইনালের দিন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী কাপ নিয়ে মাঠে ঢুকবেন। সিনিয়র বিশ্বকাপে ট্রফি একমাত্র ছুঁতে পারেন বিশ্বজয়ী অধিনায়করা। কিন্তু জুনিয়র বিশ্বকাপে অত কড়াকড়ি নেই। ফিফা চাইছিল, ভারত অধিনায়ক সুনীল বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে মাঠে ঢুকুন। সেই মতো ব্যবস্থা হয়েছে। ফাইনালে নতুন করে ভিআইপি জোন তৈরি হচ্ছে গ্যালারির মধ্যে। যার ফলে রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সংগঠকদের কাছে যে পরিমাণ ভিআইপি টিকিট ছিল, তাও কমতে চলেছে। ঠিক হয়েছে, একদম প্রথম সারিতে ফিফা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল। প্রধান গেট থেকে ‘ফাইনাল স্পেশাল’ আলপনার মধ্যে দিয়েই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন তাঁরা।
The post ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপকেও হার মানাতে চলেছে যুব বিশ্বকাপের খুদেরা appeared first on Sangbad Pratidin.