সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠ ছিল ওদের। দর্শক ছিল ওদের। ওদের ডাগআউটে ছিলেন বিশ্বজয়ী কোচ লিপ্পি। পরিসংখ্যান এগিয়ে রেখেছিল ওদের। কিন্তু এই ওদের মধ্য থেকেই নজর কাড়ল ভারতের অনবদ্য রক্ষণ। চিনের বিরুদ্ধে ভারতের রক্ষণ ছিল চিনের প্রাচীরের মতো। আর তার জোরেই লালচিনকে রুখে দিল ভারত। জয় না পেলেও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ০-০ ড্র-কেও খাটো করে দেখানোর কোনও যুক্তি নেই।
[প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয়, সেলের বিরুদ্ধে চার গোল মোহনবাগানের]
শনিবার চিনের সুঝুউতে ২১ বছর পর ভারত-চিন ফুটবলে মুখোমুখি হল । অতীতে ১৭বার দু’টি দেশ মুখোমুখি হয়েছে। যারমধ্যে একবারও জিততে পারেনি ভারত। শুধু মাত্র পাঁচটা ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ’৯৭ -এর কোচিতে নেহরু কাপের শেষ সাক্ষাৎকারেও চিন ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। এশিয়া কাপেই ১১বার খেলেছে চিন। চ্যাম্পিয়ন হয়নি ঠিকই। কিন্তু দু’বার রানার্স ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে একাধিকবার। সেখানে ভারত যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে মাত্র তিনবার। যারমধ্যে ১৯৬৪-তে রানার্স হয়েছিল। ১৯৮৪ ও ২০১১-তে গ্রুপ লিগেই মুখ থুবড়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই প্রত্যাশা করছিলেন সুনীলদের বিরুদ্ধে সহজেই জিতবে প্রতিবেশী দলটি। কিন্তু ভারতীয় ফুটবল যে আর সেই তিমিরে পড়ে নেই, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন সন্দেশ জিঙ্ঘান, গুরপ্রীত সিংরা।
[মেসি এক নম্বর হতেই বন্ধ ভোটিং! বিতর্কে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ]
এমনিতে প্রাচীরের জন্য বিখ্যাত চিন। কিন্তু শনিবার সুঝুউতে মনে হল, চিনারা নয়, গোলপোস্টের সামনে প্রচীর হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং। একটা বা দুটি নয় ধারাবাহিকভাবে একের পর এক শট সেভ করে দলকে রক্ষা করলেন গুরপ্রীত। রক্ষণকেও দিতে হবে কৃতিত্ব, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও সন্দেশ, প্রীতমদের টলাতে পারেনি চিন। ফলস্বরূপ কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র। যা এশিয়া কাপের আগে ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বইকি। হাজার হলেও প্রতিপক্ষের নাম তো ছিল চিন। সেভাবে সুযোগ তৈরি না হলেও সব মিলিয়ে ভারত যা খেলেছে তা যথেষ্ঠ প্রশংসার দাবি রাখে।