প্রসূন বিশ্বাস: “গো-ও-ল, ইসকা নাম হ্যায় মোহনবাগান, ইসকা নাম হ্যায় মোহনবাগান, জয় মা গুরু। জয় মা কালী।” দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলের পরই উচ্ছ্বাসে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে এই কথাগুলোই বলছিল বাগুইআটির ক্লাস টু-এর মোহনবাগান সমর্থক রাজঋষি বাবু। সেই অকৃত্তিম উচ্ছ্বাসের মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করে স্যোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছিলেন তার কাকিমা। তারপরই এই খুদে সমর্থকের এই ভিডিওটি বিভিন্ন গ্রুপে লক্ষ লক্ষ ভিউই শুধু হয়নি, সোশাল মিডিয়ায় এই খুদে সমর্থককে নিয়ে মেতেছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা।
শনিবারে বড় ম্যাচের পর সব থেকে বেশি চর্চায় সম্ভবত রেফারি রাহুল গুপ্তা। সেক্ষেত্রে অনায়াসে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাগুইআটির এই বালক। বছর আটেকের ছোট্ট রাজঋষি মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থক। তফাত হল, রাহুল গুপ্তাকে নিয়ে ক্ষোভ ছড়াল দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে। আর ছোট্ট রাজঋষির জন্য তাঁরাই উজাড় করে দিলেন ভালোবাসা। মজার বিষয় এটাই, রাজঋষির পূর্বপুরুষরা ওপার বাংলার মানুষ। এমনকী তার ছোট কাকা প্রকাশ বাবুও আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক।
[আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা, কাছের মানুষকে হারালেন অরিজিৎ সিং]
রাজঋষির ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই প্রধানের সমর্থকরাই আপ্লুত। ছোট্ট ফুটবল সমর্থকের এই ভিডিওর নিচে শুধু মোহনবাগান সমর্থকরাই নন, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যাবেলাতেও রাজঋষি যেন বেরিয়ে আসতে পারেনি বড় ম্যাচ থেকে। বলল, “দিমিত্রি পেত্রাতোস গোলটা না করা পর্যন্ত খুব টেনশন হচ্ছিল। গোলটা করতেই বুঝে যাই ম্যাচটা আমরা হারব না।”
বছর আটেক বয়স। বাগুইআটির প্রমীলা মেমোরিয়ালের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের আক্ষেপ, “আমি কখনও মোহনবাগান মাঠে যাইনি। পেত্রাতোস, কামিংসদের সামনে থেকে দেখিনি। যুবভারতীতেও যাইনি। যদি কেউ নিয়ে যায়!” নিজে ইস্টবেঙ্গল, ভাইপো মোহনবাগান– তাই মাঠে গিয়ে ডার্বি দেখা হয় না বলেই জানালেন রাজঋষির কাকা প্রকাশ বাবু। পূর্ববঙ্গীয় পরিবারে কীভাবে মোহনবাগান সমর্থক হল সে? হাসতে হাসতে প্রকাশ বলেন, “ইউটিউব দেখে দেখে মোহনবাগান ভক্ত হয়েছে।” এমনকী রাজঋষির গত জন্মদিনেও কেক সাজানো হয়েছিল কলকাতা ডার্বির থিমে।