সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোলিং করুন কিংবা ব্যাটিং। তিনি মাঠে থাকলেই গ্যালারি থেকে বেজে ওঠে সেই গান। ‘রাম সিয়া রাম’ (Ram Siya Ram)। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (IND vs SA) বিরুদ্ধে গত সিরিজে একাধিকবার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কখনও একদিনের ম্যাচ চলার সময় কেশব মহারাজ (Keshav Maharaj) ক্রিজে আসতেই বেজে উঠেছিল সেই গান। সেই গানের কলি কেএল রাহুলের (KL Rahul) কানে আসতেই প্রোটিয়া স্পিনারকে সম্মান জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি কেপটাইউন টেস্টের প্রথম দিনও সেই মুহূর্ত সবার সামনে এসেছিল। তাঁকে দেখেই নমস্কার করেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
আপ্লুত কেশব বলছিলেন, “মাঠে নামলেই আমার জন্য ‘রাম সিয়া রাম’ গানটা বেজে ওঠে। গোটা ব্যাপারটা আমার দারুণ লাগে। আসলে আমি শ্রী রাম ও হনুমান জি-র বড় ভক্ত। তাই এই গানটা শুনলে মন ভালো হয়ে যায়।”
[আরও পড়ুন: টি-২০ দলে বিরাট-রোহিতের কামব্যাকের মুহূর্তে বড় আপডেট দিলেন হার্দিক, রইল ভাইরাল ভিডিও]
ভারতের সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে কেশবের। ডারবানে ১৯৯০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করলেও, কেশব মহারাজের পূর্বপুরুষরা এক সময় ভারতে থাকতেন। ১৮৭৪ সালে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে কাজ করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। তখন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গিয়েছেন। কেশবের পরিবারে চারজন সদস্য। বাবা-মা এবং এক বোন রয়েছেন। যিনি আবার শ্রীলঙ্কার একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। কেশব মহারাজের বাবা আত্মানন্দও একজন ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করেও ভারতীয় রীতিনীতি মেনে চলেন। প্রতিটি ভারতীয় উৎসব পালন করে কেশবের পরিবার।
তৃতীয় একদিনের ম্যাচের তখন ৩৩.২ ওভারের খেলা চলছিল। ডেভিড মিলার ক্রিজেই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন কেশব মহারাজ। তিনি ক্রিজের কাছে আসার সময় মাঠের ধারে বেজে উঠেছিল ‘রাম সিয়া রাম’। কেএল রাহুল তখন কেশব মহারাজকে উদ্দেশ্য করে উইকেটের পিছন থেকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেশব ভাই, আপনি যখনই ব্যাট করতে আসেন তখনই এই গানটা বাজে, না?’ রাহুলের সেই কথা শুনে হেসে ফেলেন মহারাজ। তিনিও বলে ওঠেন, ‘এই গানটা শুনলে মন ভালো হয়ে যায়।’
এদিকে কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনের সকালেও ব্য়তিক্রম ঘটেনি। মহম্মদ সিরাজের আগুনে স্পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। আট নম্বরে ব্য়াট করতে নেমেছিলেন কেশব। তিনি মাঠে পা রাখতেই বাজতে শুরু হয় ‘রাম সিয়া রাম’। এই গান শুনেই কোহলি প্রথমে নমস্কার করেন। তারপর ধনুক ধরে তীর ছোড়ার ভঙ্গি করে, শ্রীরামকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান।