স্টাফ রিপোর্টার: আজ ইস্টবেঙ্গলের সামনে লক্ষ্য কি? এক, জিততে পারলে পরপর চারটে ম্যাচে অপরাজেয় আখ্যা ধরে রাখা যাবে। দুই, গোকুলামকে ঘরের মাঠে হারালে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এই দু’য়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আজ কোঝিকোড়ে সন্ধ্যা সাতটায় খেলতে নামবে লাল-হলুদ শিবির।
ইস্টবেঙ্গল (East Bengal F.C.) বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে অনেকটা ভিক্টর পেরেজের জন্য। আসলে ভিক্টর দলে যোগ দেওয়ার পর জুয়ান মেরা অনেকটা মুক্ত মনে খেলতে পারছেন। ফলে কোলাডোকে বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে না। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ বা রেলিগেশন, দু’টো ক্ষেত্রেই ইস্টবেঙ্গল না থাকায় ফুটবলারদের সামনে তেমন কোনও লক্ষ্য নেই। কোচ মারিও রিভেরা জানিয়ে দিলেন, তাঁদের সামনে এখন লক্ষ্য বাকি ম্যাচ সব জিতে লিগ টেবিলে যতটা উপরে যাওয়া য়ায়। গোকুলাম প্রসঙ্গে মারিওর সাফ জবাব, “ভাল মানের বিদেশি যেমন রয়েছে। পাশাপাশি দলের মধ্যে বাঁধন বেশ ভাল। তাই এই দলকে হারানো সহজ নয়।” প্রথম লেগে এই গোকুলামরে বিরুদ্ধেই ৩-১ গোলে হেরেছিল লাল-হলুদ শিবির। তাই কোঝিকোড়ে কী সম্ভব হবে বদলা নেওয়া? এই মুহূর্তে কেরলের দলটি বেকায়দায়। গত পাঁচটা ম্যাচ থেকে তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট মাত্র পাঁচ।অর্থাৎ একটা জয়, দু’টো ড্র। তাই তারা লিগ টেবিলে এখন সাতে। গোকুলাম কোচ সান্তিয়াগোর ভয়, ইস্টবেঙ্গলের দু’জন নতুন বিদেশির অন্তর্ভুক্তি। তাই গোকুলাম(Gokulam FC) খেলতে নামার আগে যথেষ্ট সতর্ক।
[আরও পড়ুন: ফের জাতীয় দলের ম্যাচ পেল কলকাতা, যুবভারতীতে ভারত-আফগানিস্তান দ্বৈরথ]
এদিকে, সোমবার শহরে পা রাখলেন জনি অ্যাকোস্টা। তাঁর আসায় গোটা দল উজ্জীবিত। পরের ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, কার জায়গায় তাঁকে দলে নেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। কেউ বলছেন কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ক্রোমাকে বাদ দেওয়া হতে পারে। আবার কেউ বলছেন বাদ পড়তে পারেন কাশিম হায়াদারা। আপাতত, কোঝিকড়ে মারিও গিয়েছেন ৬ বিদেশি নিয়েই। বলতে গেলে গোকুলাম ম্যাচের উপরই নির্ভর করছে ক্রোমাদের ভবিষ্যৎ। এখন দেখার প্রথম একাদশে কোন পাঁচ বিদেশিকে রাখেন মারিও। সেটা দেখার পরই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যাবে অ্যাকোস্টাকে কার জায়গায় সই করানো হবে।
The post গোকুলামের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ, জোড়া লক্ষ্য নিয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.
